সিপ্লাস ডেস্ক: পিঠ-পা ঝলসে গেছে। যন্ত্রণায় কাতর বানরটি এর আগেও খাবারের সন্ধানে এসেছিল হাসপাতাল এলাকায়।
দেখেছে অসুস্থ রোগীদের সেবা নিতে। কিন্তু নিজেই যখন অসুস্থ, তখন গন্তব্য তো সেখানেই হবে।
তিনদিন ধরে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসছে এই বানর। চিকিৎসকরাও বিমুখ করেননি। দিচ্ছেন সাধ্যমতো চিকিৎসা। তবে দেখা নেই বন বিভাগের কর্মকর্তাদের। কারণ তারাই পারেন, বানরটি আটকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে পাঠাতে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় আসে বানরটি। পরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় ও বন বিভাগকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু কারও সাড়া মিলেনি। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল পাঁচটার দিকে বানরটি আবারও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। এসময় চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেন, ড্রেসিং শেষে ব্যান্ডেজ করে দেন ক্ষতস্থানে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বানরটি পুনরায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ এর তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্যকর্মীরা বানরটির ক্ষতস্থানের ব্যান্ডেজ পাল্টে দেন। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও প্রাণি চিকিৎসকদের একটি দল।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, তিনদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে বানরটি। সোমবারও এসেছে। ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর বানরটি বনে ফিরে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খাদ্যসংকটের কারণে বন থেকে লোকালয়ে চলে আসা বানরটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে পিঠ, কোমড়ের নিচের অংশ ও চার পায়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। চিকিৎসা নিতে বানরটি হাসপাতালের বারান্দার সিঁড়িতে এসে বসে থাকে। ড্রেসিং করার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা এলে, বানরটি চুপচাপ থাকে। কাজ শেষ হলে আবার চলে যায়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে খবর পেয়ে বানরটির চিকিৎসা দিতে গিয়েও পাওয়া যায়নি। বন বিভাগের মাধ্যমে বন্দী করা গেলে পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।