আনোয়ারা প্রতিনিধি : চার বছর আগের একটি ভিডিও নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের ভিডিও দাবী করে আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন মো. হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরানো একটি সালিশি বৈঠকের ভিডিও নিয়ে অপপ্রচার চালায় কিছু ব্যক্তি।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, উপজেলা বিএনপির সদস্য মামুন খান সহ স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির নিয়ে একটি বাসায় বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের একপর্যায়ে স্থানীয় রাশেদ নুর নামের এক ব্যক্তিকে পাঁচ লাখ টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
ভিডিও সম্পর্কে জানতে ওই ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায়, গত ২০২০ সালে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর গ্রামের এক পরিবারের তিন ব্যক্তি থেকে জায়গা ক্রয় করেন স্থানীয় লুতপুর নাহার। এরপর লুতপুর নাহারের সাথে ওই জায়গা নিয়ে স্থানীয় রাশেদ নুরের সাথে সমস্যা সৃষ্টি হয়। এটি নিয়ে থানায় অভিযোগ হলে দু’পক্ষই বন্দর পুলিশ ফাঁড়িতে বৈঠক পরবর্তী গত ২০ সালের ১লা অক্টোবর স্থানীয় আজিজের বাসায় সমোঝোতার মধ্যে রাশেদ নুরকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে সমস্যা মিমাংসা করেন। ওই বেঠকে উপস্থিত ছিলেন স্হানীয় বিএনপি নেতা মামুন খান, যিনি পরবর্তীতে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য হন ২০২২ সালে।
এদিকে এ বৈঠকটি চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে উল্লেখ করে ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময় বলে বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন মো. হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিএনপির একটি গোষ্ঠী মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে জানান বিএনপির নেতাকর্মীরা।
উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, বৈরাগ ইউনিয়নের জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে সমোঝোতা বৈঠকটির ভিডিও ২০২০ সালের। কিন্তু আওয়ামীলীগের দোসররা সেটা এখনের ঘটনা বলে চালিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। বিএনপির দুঃসময়ের ত্যাগী নেতা লায়ন হেলালের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে সদস্য সচিবের পদের নাম ভাঙিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদাবাজি করছে। অথচ ২০সালে লায়ন হেলাল বিএনপির কমিটিতে কোনো পদে ছিলেন না। ২২ সালের ১৫ মে উপজেলা বিএনপির কমিটিতে লায়ন হেলাল সদস্য সচিব নির্বাচিত হয়। এতে কিভাবে সদস্য সচিবের প্রভাব কাটিয়ে চাঁদাবাজি করবে তিনি।
উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা আরও জানায়, গত ১৫ বছর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাকালে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে রয়েছে সদস্য সচিব লায়ন মোঃ হেলাল উদ্দিন। বিএনপির দুঃসময়ে সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তিনি। আজ এসময় লায়ন হেলালের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে সুনাম থাকায় এক দল আওয়ামী লীগের দোসরদের থেকে হিংসা জেগেছে। তাই মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে কোনো লাভ হবে না। দিনশেষে লায়ন হেলালের জয় হবে, ইনশাআল্লাহ।
উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. মামুন খান জানান, গত ২০ সালে এলাকায় দুপক্ষে জায়গা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় আমরা কয়েকজন তা সমাধান করে দিই। কিন্তু ২৪ সালে এসে একদল ব্যক্তি এই ভিডিও নিয়ে আমি ও দলের সদস্য সচিব লায়ন হেলালের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তার তীব্র নিন্দা জানায়।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন মো. হেলাল উদ্দিন জানান, দলের দুঃসময়ে দলের জন্য কাজ করেছি। কাজ করতে গিয়ে অনেক নির্যাতনোর শিকার হয়েছি, কিন্তু দমে যায়নি। এছাড়া আমার দলের নেতাকর্মীদের প্রতি সোজা নির্দেশ ছিল কোনো চাঁদাবাজি, দূর্নীতি ও অনিয়মে না জড়াতে। যদি অভিযোগ পাই কোনে ছাড় নেই। এছাড়া আমার কাছে আওয়ামী দোসরদের কোনো জায়গা নেই।
তিনি আরও জানান, নোংরা রাজনীতি আমি পছন্দ করিনা। এদিকে বিএনপির দুঃসময়ে পাশে না পাওয়া আওয়ামী লীগের দোসররা মাথাচড়া দিয়ে উঠেছে। তারা আমার ইমেজ নষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। বিভিন্ন মিথ্যাচারে লিপ্ত হচ্ছে। এসবে আমাকে আটকানো যাবে না। সবার মুখোশ উন্মোচন করব।
চাটগাঁ নিউজ/সাজ্জাদ/এআইকে