নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাটগাঁ নিউজে সংবাদ প্রচারের পর নগরীর বায়েজিদে অবস্থিত নাগিন পাহাড়কে পাহাড় খেকোদের থেকে বাঁচাতে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসক। অভিযানে কাউকে আটক করতে না পারলেও পাওয়া গেছে দিনের পর দিন পাহাড়কে গিলে ফেলার আলামত।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অনুসন্ধান চালায় কাট্টলী সার্কেল ভূমি সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরফাত ছিদ্দিকী।
জানা যায়, সরকারি হিসাবে নাগিন পাহাড়টি প্রায় ১০ একরের। এতে সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড়ি ভূমি রয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় প্রায় দেড় একরের মতো পাহাড় কাঁটা হয়েছে। দিন দিন পাহাড় কাঁটার পরিধি বাড়ছে।
ঈদে বন্ধের সুযোগ নিয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত পাহাড়ের বাকি অংশটুকুও কাঁটা শুরু করে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। সংঘবদ্ধ চক্রটি ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলীয় নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে এ পাহাড়কে ধ্বংস করছেন বলে জানায় এলাকাবাসীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এলাকাবাসী বলেন, পাহাড় কাঁটা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে অনেকবার দরখাস্ত দিয়েছি আমরা। কিন্তু তারা এসে পাহাড় খেকোদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে ফিরে যায়। পাহাড় কাঁটায় একটা মামলায় সাক্ষী ছিলাম বলে আমার নামে আরো ৪টি বানোয়াট মামলা দেয় তারা।
পাহাড় খেকোদের নাম প্রকাশ করলে জীবনহানির শঙ্কা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা সবাই মৌসুমি নেতা, যারা বিরোধী দল থেকে ক্ষমতাসীন দলে এসে রংবদল করেছেন। আর তাদের কাছে রয়েছে দেশি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র। পাহাড় কেটে ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা মাসে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত উপার্জন করে।
এ বিষয়ে কাট্টলী সার্কেল ভূমি সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরফাত ছিদ্দিকী চাটগাঁ নিউজকে বলেন, আমরা গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়েছি যে এখানে পাহাড় কাঁটা হয়, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর সত্যতা পেয়েছি। কোন আসামিকে পায়নি বিধায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা যায়নি। পাহাড় কাঁটার প্রেক্ষিতে জায়গাগুলো সমতল হয়ে গেছে। অস্থায়ী টিনশেড দিয়ে ঘর তৈরী করে তা ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সেগুলো আমরা উচ্ছেদ করেছি। আমাদের নজরদারী অব্যাহত আছে, ভবিষ্যতে পাহাড় কাঁটার সংবাদ পেলে আবার অভিযান পরিচালনা করবো।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন