চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ প্রতিদিন ১৮০ থেকে ২০০ জন রোগী হৃদরোগ জনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন চমেক হৃদরোগ বিভাগে। তবে এবার চমেকের একমাত্র ক্যাথল্যব নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন হাসপাতালটির ওপর নির্ভরশীল গরিব-অসহায় রোগীরা।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হৃদরোগ জনিত সমস্যা নিয়ে বিভাগটিতে অনেক রোগী ভর্তি আছেন। চিকিৎসকেরা জানান, প্রতিদিন ১৮০ থেকে ২০০ রোগী থাকেন। শীতকালে আসায় রোগী সংখ্যাও বেড়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষাগুলো করলে ২০ হাজার টাকার মতো খরচের প্রয়োজন। আর এই টাকায় জোগাড় করতে হিমশিম পড়েছেন রোগীর স্বজনরা”।
বিষয়টি স্বীকার করে হৃদরোগ বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক আশীষ দে বলেন, “প্রায় ১০ দিন ধরে ক্যাথল্যাবটি বিকল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ জন্য চিঠি দিয়ে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একটি ক্যাথল্যাবের কারণে আগেই এনজিওগ্রাম করার জন্য রোগীদের মাসখানেক পরপর সময় (সিরিয়াল) দেওয়া হতো। এখন আরও বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মেরামত হলে তখন তাঁদের এনজিওগ্রাম করে দেওয়া হবে”।
জানা যাই, ২০২০ সালে চমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের স্থাপন করা ক্যাথল্যাব মেশিনটি সরবরাহ করে ঢাকার মেডি-গ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেড নামের এক প্রতিষ্ঠান। চমেক হাসপাতালের দুটি ক্যাথল্যাব মেশিনের একটি নষ্ট হয়েছে দুই বছরের বেশি সময় আগে। অপর ক্যাথল্যাবটি চালু ছিল। দুই বছর ধরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরেকটি ক্যাথল্যাবের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছিল। এসব আবেদনে অবশিষ্ট ক্যাথল্যাবটি বিকল হওয়ার ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। অবশেষে ৪ জানুয়ারি ক্যাথল্যাবটি বিকল হয়ে যায়। এর পর থেকে ক্যাথল্যাবকেন্দ্রিক যাবতীয় সেবা বন্ধ রয়েছে।
ক্যাথল্যাব নষ্ট থাকায় ১০ দিনের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই জরুরি সেবাগুলো বন্ধ রয়েছে। গরিব রোগীরা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। সরকারি খাতের চেয়ে বেসরকারিতে হার্টের স্ট্যান্টিং ও এনজিওগ্রাম ব্যয় তিন থেকে চার গুণ বেশি।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন