চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামের চন্দনাইশে দুলাভাই কর্তৃক শ্যালিকাকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অপহরণের ২২ দিন পর উপজেলার বৈলতলী এলাকা থেকে শ্যালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণকারী দুলাভাই হান্নান এখনো পলাতক।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (১০ জুলাই) অপহৃতের দুলাভাই মোহাম্মদ হান্নানের বাড়ি থেকেই শ্যালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দোহাজারী পৌরসভার আহমদুর রহমানের বড় মেয়ে আসমা আক্তারের (২২) সঙ্গে বৈলতলী ইউনিয়ের জাফরাবাদ গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ হান্নানের ২০২২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সামাজিকভাবে বিয়ে হয়।
বিবাহ জীবনে তাদের সংসারে ১টি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু বিয়ের আনুমানিক ১ বছর পর হতে হান্নান অহেতুক কারণে তার স্ত্রীকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালমন্দসহ মারধর করে আসছিল। পাশাপাশি অনেকদিন যাবৎ কিশোরী শ্যালিকাকে অবৈধ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে শ্যালিকা।
বিষয়টি হান্নানের স্ত্রী আসমা আকতার জানতে পেরে তার স্বামী হান্নানকে নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হান্নান তার স্ত্রী আসমা আকতারকে ডিভোর্স দেওয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে হান্নান তার স্ত্রীর কাছে ডিভোর্সের কাগজ পাঠান।
এদিকে সম্প্রতি শ্যালিকা সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের বহরমপাড়াস্থ তার খালার বাড়িতে বেড়াতে গেলে গত ১৯ জুন হান্নানসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের সহযোগিতায় তাকে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাতনামা স্থানে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ হান্নানের শ্বশুর আহমদুর রহমান বাদি হয়ে চন্দনাইশ থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
চন্দনাইশ থানার ওসি (তদন্ত) যুযুৎসু যশ চাকমা জানান, শ্যালিকাকে অপহরণ করা মামলার পর পুলিশ অপহৃতকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। সর্বশেষ মামলার বিবাদী হান্নান তার পোল্ট্রি ফার্মের মুরগি বিক্রি করতে আসার খবর পেয়ে পুলিশ তার বাড়ি বৈলতলী জাফরাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার শ্যালিকাকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হান্নান সরে পড়ে। আজ বৃহস্পতিবার কিশোরীকে আদালতে সোপার্দ করা হবে বলে জানান।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস