চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৯দিন। আগামী ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আজ চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় এলাকায় যাচ্ছে সকল নির্বাচনী (ব্যালট পেপার ও স্ট্যাম্প প্যাড ছাড়া) সামগ্রী। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যালট পেপার ও স্ট্যাম্প প্যাড যাবে ভোটের দিন সকালে।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে, প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার ভোট কেন্দ্র ও ভোটকক্ষ অনুযায়ী অমোচনীয় কালির কলম, রাবারের সিলমোহর, মার্কিং সীল, স্ট্যাম্প প্যাড, গালা, চার্জার লাইট, চটের থলি, স্ট্যাপলার মেশিন ও পিন, মনিবহারী সামগ্রীর মধ্যে বলপয়েন্ট কলম, সাদা কাগজ, কার্বন কাগজ, ছুরি, সুই বড়, সুতার বল, মোমবাতি, দিয়াশলাই, গামপট, স্ট্যাম্প প্যাডের কালি, স্টিলের স্কেল, সুপার গ্লুসহ অন্যান্য সকল সামগ্রী সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের আগে ভাগেই বুঝিয়ে দেয়া হবে। একই সাথে ভোটার সংখ্যা, ভোট কেন্দ্র ও বুথ অনুযায়ী পাঠানো হবে স্বচ্ছ ব্যালট বক্সও।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, এবার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যালট পেপার এবং স্ট্যাম্প প্যাড ভোট কেন্দ্রে যাবে ভোটের দিন। শুধুমাত্র দুর্গম এলাকায় আগেভাগে পাঠানো হবে। স্বচ্ছ ব্যালট বক্সসহ অন্যান্য নির্বাচনী সামগ্রী প্রত্যেক সংসদীয় এলাকায় আগে চলে যাবে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের ২৩ সংসদীয় আসনে মধ্যে তিন পার্বত্য জেলার বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি খুবই দুর্গম এলাকা এবং সন্দ্বীপ-দ্বীপ অঞ্চল হওয়াতে এই এলাকাগুলোকে বিশেষ বিবেচনায় রাখা হতে পারে।
চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, শুক্রবার (আজ) চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামস্থ জিমনেসিয়াম থেকে চট্টগ্রামের প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো হবে। শুধুমাত্র ব্যালট পেপার ও স্ট্যাম্প প্যাড ছাড়া। এসব নির্বাচনী সামগ্রী প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার সহকারী রিটার্নিং অফিসারগণের (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ভোট পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তায় রাখবেন।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রামে ১৬ সংসদীয় আসনে বড়-ছোট বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মোট ১২৫ জন প্রার্থী এখন নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণায় প্রার্থী এবং কর্মী-সমর্থকরা বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। বেশ কিছু আসনে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নির্বাচনী ম্যাজিস্ট্রেটদের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির বিচারিক কর্মকর্তারা।