আনোয়ারা প্রতিনিধি : দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলার কয়েকটি গ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার শতাধিক গ্রামে আজ রবিবার একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়েছে। সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা হানাফী মাযহাবের অনুসরণে হজ্জ্বের পরের দিন ঈদুল আজহা পালন করেছেন। দরবার শরীফের অনুসারীরা দুইশত বছর পূর্ব হতে এ নিয়মে ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন।
দরবারের অনুসারীরা জানান, রবিবার সকালে আনোয়ারা উপজেলার তৈলারদ্বীপ, বারখাইন, বরুমচড়া, খাসখামা, কাটাখালী ও রায়পুর এবং বাঁশখালী উপজেলার কালিপুর, চাম্বল, ডোংরা, শেখেরখীল, ছনুয়া, পুইছড়ি গ্রামে সকাল আটটার সময় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
দরবার সূত্র জানায়, মির্জাখীল দরবার শরীফের খানকাহ মাঠে সকাল সাড়ে নয়টার সময় ঈদুল আজহার প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। হজরত ইমামুল আরেফীন ড. মৌলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান নামাজে ইমামতি করেন।
জেলার আনোয়ারা, বাঁশখালী ও সাতকানিয়া উপজেলার বাইরে দেশের শতাধিক গ্রামেও ঈদের জামাত শেষে পশু কোরবানি দেওয়া হয়।
ঈদ উদযাপনের বিষয়ে মির্জাখীল দরবার শরীফের মোহাম্মদ মছউদুর রহমান বলেন, ‘আমরা হানাফী মাযহাবের অনুসারী হিসেবে বিগত দুই শতাধিক বছর ধরে ইয়াউমুল আরাফাহ বা পবিত্র হজ্জ্বের পরের দিনই আমরা ঈদুল আজহা পালন করে আসছি।
তিনি আরও বলেন, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ হতে চাঁদের অবস্থান এবং হজ্জ্ব পালনের খবর সচিত্র দেখে তথা এবার শায়খ মাহের আল মুয়াক্কিল কতৃর্ক দেওয়া হজ্জের খুতবা সরাসরি পবিত্র আরাফাতের মসজিদে নামিরা হতে শুনে দেখে-শুনেই রবিবার ঈদুল আজহা উদযাপন করেছি।
চাটগাঁ নিউজ/সাজ্জাদ/এসআইএস