চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৩৭০ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) নগরের চান্দগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন মো. সেলিম নামের এক ব্যক্তি। তিনি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জাহানপুর গ্রামের বাসিন্দা। গত ৪ আগস্ট নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাটে তার ছেলে ফজলে রাব্বী (২১) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, এম এ লতিফ, আবদুচ ছালাম, এস এম আল মামুন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনসহ ২৭০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী মো. সেলিম জানান, তার ছেলে ফজলে রাব্বি দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেননি। গত মাসের ১০-১২ তারিখের দিকে রাব্বি চট্টগ্রামে আসেন। বাকলিয়ায় তার চাচার বাসায় থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশ নিতে নগরের বহদ্দারহাটে যান। সন্ধ্যায় সেখানে গুলিবিদ্ধ হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাধায় সেখানে ভর্তি করাতে পারেননি। পরে বেসরকারি রয়েল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাকে ভোলায় গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
পেশায় কৃষক মো. সেলিম বলেন, ‘আমার ছেলের শরীরে চারটি গুলি লেগেছে। দুইটি মাথায়, একটি চোখে, আরেকটি গলার নিচে। যখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল তখনও নাকি ছেলে জীবিত ছিল। তখন যদি চিকিৎসা পেতো আমার ছেলে হয়তো বেঁচে যেতো। কিন্তু ছাত্রলীগের ছেলেদের কারণে তাকে সেখানে ভর্তি করা যায়নি। গত ১৪ আগস্ট আমি চট্টগ্রাম এসেছি। আমার ভাইসহ বিএনপি নেতারা মামলা দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছেন। আমি তো কাউকে চিনি না। বিভিন্নসূত্রে আসামিদের নাম পেয়েছি। তাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছি। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছবেদ আলী বলেন, ‘বহদ্দারহাটে ফজলে রাব্বী নামে কেউ নিহত হয়েছে এমন তথ্য আমাদের কাছে ছিল না। ছেলেটির বাবা এসে মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চাটগাঁ নিউজ/এসএ