চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্টাফ ক্যামেরাপারসন সেলিম উল্লাহ। এসময় হামলাকারীরা বেধড়ক মারধর করে সেলিম উল্লাহকে রক্তাক্ত করে।
রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন মনসুরাবাদ এলাকায় ঘটে এই ঘটনা। পরে পুলিশ মারধরে জড়িতের অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. ফখরুল ইসলাম (২৩), ইরফান (২০), মাহিন (২৫), জুবায়েদ আলী (১৯), মো. মোসাদ্দেক হোসেন (১৯), মো. রফিক (৩৫) ও বিল্লাল বেপারি (২৮)।
আহত সাংবাদিক সেলিম উল্লাহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি সাতজনের নামসহ আরও আটজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। জড়িতরা সবাই সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র আব্দুস সবুর লিটনের অনুসারী বলে দাবি সাংবাদিক সেলিম উল্লাহর।
তিনি বলেন, মনসুরাবাদ এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হলে পেশাগত দায়িত্ব থেকে ভিডিও ধারণের সময় প্রথমে সাদ্দাম নামের একজন আমার হাতের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এরপর আরও ১৪-১৫ জন এসে বেধড়ক মারধর করেন। ছুরি নিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। তাদের অনেকে প্যানেল মেয়র আব্দুস সবুর লিটনের অনুসারী।
তবে প্যানেল মেয়র আব্দুস সবুর লিটনের দাবি সাংবাদিক সেলিম উল্লাহর ওপর হামলাকারী কেউ তার রাজনীতি করেন না।
আব্দুস সবুর লিটন বলেন, সাংবাদিক সেলিমের ওপর হামলাকারী সাদ্দাম একজন কিশোর গ্যাং লিডার। তিনি এলাকায় চাঁদাবাজি করেন। দুইদিন আগেও সাদ্দাম আমার দুই অনুসারীকে ছুরিকাঘাত করেছেন। তাদের একজন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রেফতার কেউ আমার রাজনীতি করেন না।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী বলেন, সাংবাদিক সেলিম উল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ