চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ পার্কিং ব্যবস্থার আধুনিকায়নের পাশাপাশি যানজট কমাতে পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের স্থান তৈরি প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে চসিক, সিএমপি এবং বিআরটিএ’র মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। সভায় আগামী ২৩ জানুয়ারি আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা এবং ওয়াসা মোড় থেকে ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চসিক, সিএমপি এবং বিট্র্যাক সলিউশন যৌথভাবে জরিপ চালিয়ে যেকোনো একটি স্থানে প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রকল্প চালুর প্রস্তাব উঠে আসে।
এইসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী আরো বলেন, চট্টগ্রামকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু বড় প্রকল্প গ্রহণ করায় চট্টগ্রামে গাড়ির সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ফলে নতুন এই চাপ সৃষ্টির চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সক্ষম আমাদের রাখতে হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল মান্নান মিয়া চসিকের পে-পার্কিং চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রকল্পের ক্ষেত্রে পার্কিং করা গাড়ির নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রকল্পের প্রয়োজনে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোকবল নিয়োগ করতে হবে।
চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, পে-পার্কিং চালুর পাশাপাশি ব্যাটারি রিকশা নিয়ন্ত্রণ ও গণপরিবহন বিকেন্দ্রীকরণে সিএমপি এবং বিআরটিএ’র সহযোগিতা কামনা করেন।
ভবিষ্যতের চট্টগ্রামকে যানজটমুক্ত করতে হলে প্রযুক্তিভিত্তিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা চালু করতে হবে। নগরীতে পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় অনেকে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করায় পর্যাপ্ত রাস্তা থাকা সত্ত্বেও কিছু পয়েন্টে যানজট তৈরি হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে আমি দীর্ঘদিন ধরে পে-পার্কিং চালুর পক্ষে জনমত গঠনের চেষ্টা করছি। সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের মতামতের ভিত্তিতে প্রযুক্তিভিত্তিক পে-পার্কিং চালু করা গেলে নগরের যানজট অনেকটা কমে আসবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তার আলোকে আমরা স্মার্ট পে-পার্কিং সিস্টেম চালু করব।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন