চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করলো এইচএসসি ফেল শিক্ষার্থীরা 

পাশ করিয়ে দেয়ার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করে এবার আন্দোলনে নেমেছে সদ্য প্রকাশিত হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৩ ঘন্টা শিক্ষা বোর্ডের মূল ফটকে তালা মেরে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জরুরি কাজে আসা শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের আটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে বিকেলে স্মারকলিপি দিয়ে তারা শিক্ষাবোর্ড ত্যাগ করেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া এই আন্দেলন চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। এসময় বিভিন্ন কলেজের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীরা এতে উপস্থিত ছিলেন। দাবিনামা সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। দাবি না মানলে আগামী রোববার থেকে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারিও দেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষার খাতা না কেটেই ফলাফল প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বোর্ড। আন্দোলন চলাকালে সমন্বয়কদের ডেকে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করার অভিযোগ তুলেন কেউ কেউ।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শাকিল আজাদ ‘চাটগাঁ নিউজ’কে বলেন, আমাদের ধারণা খাতা না কেটেই বোর্ড কর্তৃপক্ষ মনগড়া রেজাল্ট দিয়েছে। চট্টগ্রাম বোর্ডের ইংরেজি প্রশ্ন সহজ আসার পরেও তাদেরকে গণহারে ইংরেজিতে ফেল করিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও সিলেট বোর্ডে মাত্র দুই বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে সবাইকে পাস করানো হয়েছে অথচ চট্টগ্রাম বোর্ডে সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন করা হয়নি। এসময় সঠিকভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং করা হয়নি বলেও দাবি করেন তারা।

সামিয়া নামের আরেক আন্দোলনরত শিক্ষার্থী বলেন  ‘আমাদের চার বিষয়ের মোট ৭টি পরীক্ষা হয়েছে। ৩৩ করে দুই বিষয় মিলে ৬৬ নম্বর পেলেই পাস কিন্তু ৭৬ পাওয়ার পরেও ফেল দেওয়া হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব? এতে আমাদের সাথে বৈষম্য করা হয়েছে।

অভিভাবকদের একজন জানান,  আমার ছেলের পরীক্ষা ভালো হওয়ার পরেও ফেল করিয়ে দিয়েছে। তার ফিজিক্স পরীক্ষায় ১১০ পাওয়ার পরেও কেমনে ফেল আসে? যেখানে ৬৬ তে পাস। আবার বাংলাতে ৭৫ পাইছে তাও ফেল। উনারা বলছে যে এমসিকিউতে খারাপ করছে তাই ফেল আসছে। কিন্তু আমরা তো জানি আমার বাচ্চা কেমন পরীক্ষা দিয়েছে। ইচ্ছেমতো নম্বর কম দিয়ে ফেল করাই দিছে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর রেজাউল করিম বলেন, এইচএসসি পরীক্ষায় যারা ফেল করেছে তারা এসে আন্দোলন করছে এখানে। তাদের দাবি যৌক্তিক কিনা সেটা এই মুহূর্তে  বলতে পারছিনা। তবে তারা স্মারকলিপি দিয়েছে আমি সেটি গ্রহণ করেছি। আমি বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা যা সিদ্ধান্ত দিবে তাই হবে।

চাটগাঁ নিউজ/নিজাম/জেএইচ

 

Scroll to Top