চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : রেমালের প্রভাবে আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বন্দরকে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখালে গত সোমবার জেটি থেকে ১৯টি জাহাজ গভীর সাগরে ফেরত পাঠানো হয়।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে গভীর সাগরে ফেরত পাঠানো জাহাজগুলো ২ দিন পর ভিড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত বন্দর জেটিতে ভিড়ানো হয়েছে ১০টি জাহাজ। স্বাভাবিক হয়েছে আমদানি পণ্য ও কনটেইনার ডেলিভারি কার্যক্রম।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, জেটিতে পণ্য খালাসরত যে ১৯টি জাহাজ গভীর সাগরে পাঠানো হয়েছিলো সেগুলো একে একে ফেরত আনা হচ্ছে। সাগর এখনও উত্তাল রয়েছে। এরপরও বন্দরের পাইলটরা ১০টি জাহাজ জেটিতে ভিড়াতে সক্ষম হয়েছে। বাকি জাহাজগুলোও জেটিতে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, জেটিতে জাহাজ ভিড়ার পর কনটেইনার ওঠানামার কাজ শুরু হবে। বন্দর ইয়ার্ড থেকে কনটেইনার ডেলিভারি কার্যক্রম চলছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের মেরিন ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, রিমালের প্রভাবে আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বন্দরকে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখালে গত সোমবার জেটি থেকে ১৯টি জাহাজ গভীর সাগরে ফেরত পাঠানো হয়। একই সাথে বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ করে গভীর সাগরে ফেরত পাঠানো হয় ৪৯টি খোলা পণ্যবাহী জাহাজ।
এদিকে বহির্নোঙর থেকে গভীর সাগরে ফেরত পাঠানো ৪৫টি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজকে পুনরায় বহির্নোঙরে ফেরত আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২৭ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তর বিপদ সংকেত ৯ থেকে কমিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত ঘোষণা করলে বন্দর জেটিতে জাহাজ ভিড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করে। কিন্তু সাগর উত্তাল থাকায় সোমবার জাহাজ ভিড়ানো সম্ভব হয়নি।