চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পৌঁছতে পথিমধ্যে তিনবার গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সার্জিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। তবে দুর্ঘটনায় তাদের ব্যবহৃত গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দুইজনেই অক্ষত রয়েছেন।
গাড়ি দুর্ঘটনার খবর নিয়ে সমন্বয়ক সার্জিস আলম তার ভেরিফাইড ফেজবুক পেজে একটি পোস্ট করেছেন।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, “চট্টগ্রাম থেকে গতকাল রাতেই ঢাকা ব্যাক করলাম। পথে হাসনাতকে কুমিল্লার বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসলাম। এখন শুনছি সকালে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসার পথে হাসনাতের গাড়িতে পিছন থেকে আবার অন্য গাড়ি দিয়ে চাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব ষড়যন্ত্র করে আর কত? ষড়যন্ত্র করে আর কয়জন হাসনাত মারবেন?
তিনি আরো উল্লেখ করেন, মনে নাই সেই অভ্যুত্থানের দিনগুলোর কথা? একজনকে যখন বুলেটে লাশ বানিয়েছেন তখন অন্য আরেকজন দাঁড়িয়ে গেছে। কিন্তু পিছু হটেনি। ঠিক একই ভাবে হাসনাতকে মারলে হাজারো হাসনাত এখন দাঁড়িয়ে যেতে প্রস্তুত। এই নতুন বাংলাদেশের চলার পথকে অবরুদ্ধ করার দুঃসাহস দেখাবেন না। এই তরুণ প্রজন্ম মাথা নোয়াবার নয়। ”
জানা যায়, বুধবার অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে হাসনাত ও সারজিসের গাড়িবহরের একটি প্রাইভেটকারকে চাপা দেয় একটি ট্রাক। এতে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অবশ্য পরবর্তীতে চাপা দেয়া ট্রাকটি জব্দ ও চালক মুজিবুর রহমানকে আটক করা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনার পর সারজিস আলম ও হাসনাতকে বহনকারী গাড়িটি ঢাকার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ছাড়ে। কুমিল্লায় পৌঁছলে হাসনাত তার কুমিল্লার বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে নেমে যান। সারজিস ঢাকায় চলে আসেন।
পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে (২৮ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় ফেরার পথে পর পর দুইবার সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় হাসনাতের গাড়িটি।
এই নিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, প্রথম মাতুয়াইলে একটি ট্রাক তাদের বহনকারী গাড়িটিতে আঘাত করে পালিয়ে যায়, পরে গুলিস্তানে ফের মিনি-ট্রাকের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাড়ি। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেও, পর পর দুর্ঘটনার বিষয়টি পরিকল্পিত হামলা বলে সন্দেহ হচ্ছে।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি