সিপ্লাস ডেস্ক: ভারতের গুজরাটে আঘাত হানতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। সেখানে বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় একশ কিলোমিটার। রাজ্যটির উপকূলে শুরু হয়েছে ভারি বৃষ্টি। তবে পুরোপুরিভাবে আঘাত হানতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে। খবর এনটিভির।
এদিকে পাকিস্তানের জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রী শেরি রেহমান জানিয়েছেন, তাদের উপকূলে বিপর্যয় আঘাত হানতে পারে রাতের শেষে অথবা মধ্যরাতে।
এর আগে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানায়, অতিপ্রবল এ ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। ঝড়ে প্রাণহানি মোকাবিলায় এরই মধ্যে গুজরাট উপকূল থেকে অন্তত ৭৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আইএমডি বলেছে, ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে গুজরাট উপকূলে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়বে। পোরবন্দর, রাজকোট, মরবি, জুনাগড়, সৌরাষ্ট্র এবং উত্তর গুজরাটের অবশিষ্ট জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) ১৮টি, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এসডিআরএফ) ১২টি, রাজ্য সড়ক ও ভবন বিভাগের ১১৫টি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বিভাগের ৩৯৭টি দল উপকূলীয় জেলাগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে।
ভারতের পশ্চিম রেলওয়ে জানিয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ট্রেন পরিচালনার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ৭৬টি ট্রেনের সূচি বাতিল করা হয়েছে।
বন্ধ রাখা হয়েছে গুজরাটের সবচেয়ে বিখ্যাত দেবভূমি দ্বারকার দ্বারকাধীশ মন্দির এবং গির সোমনাথ জেলার সোমনাথ মন্দির।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় মোকাবিলায় ভারতের মতো বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রতিবেশী পাকিস্তানও। শেরি রেহমান বুধবার (১৪ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বৃহস্পতিবার ঝড়টি সিন্ধ প্রদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। এর জন্য এখন পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে ৬৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।