চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পর তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত হলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) খুলনা টাইগার্সকে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে শুভাগতহোমের দল।
এই জয়ে গ্রুপ পর্বে ১২ ম্যাচের ৭টি জিতে ১৪ পয়েন্ট হলো চট্টগ্রামের। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে ১০ পয়েন্ট খুলনার। তাদের বিদায় কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেছে। নিজেদের শেষ ম্যাচে জিতলেও ফরচুন বরিশালের হার কামনা করতে হবে। তার মধ্যে আবার রানরেটে অনেকটাই পিছিয়ে খুলনা।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনার সামনে লক্ষ্য ছিল বেশ বড়, ১৯৩ রানের। পারভেজ হোসেন ইমন (৮ বলে ৬) সুবিধা করতে না পারলেও এনামুল হক বিজয় আর শাই হোপ দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন।
কিন্তু বিজয় ২৪ বলে ৩৫ আর হোপ ২১ বলে ৩১ করে আউট হওয়ার পরই খেই হারিয়ে ফেলে খুলনা। ইনিংসের অর্ধেকটা যেতে না যেতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে তারা।
একশর আগে (৯৯ রানে) খুলনার ৬ উইকেট তুলে নেয় চট্টগ্রাম। ততক্ষণে ১৩ ওভার পার হয়ে গেছে। ফলে এমন জায়গা থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় ছিল না। শেষদিকে ১৭ বলে ১৮ করে পরাজয়ের ব্যবধানই যা একটু কমিয়েছেন জেসন হোল্ডার। ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা।
শুভাগতহোম ২৫ রানে ৩টি আর বেলাল খান মাত্র ১৩ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
এর আগে বাঁচা-মরার এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগতহোম। ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকান ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।
এবারের বিপিএল সেরা ইনিংস খেললেন তরুণ এই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত ৬৫ বলে ১১৬ রান করে আউট হন তিনি, যে ইনিংসে ৮টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কার মার মারেন তামিম।
তানজিদ তামিমের এই ইনিংসের ওপর ভর করেই খুলনার বিপক্ষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রানের বড় স্কোর গড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
তামিমের এই ইনিংসের পর বাকি ব্যাটারদের তেমন অবদানের দরকারই পড়েনি। টম ব্রুস ২৩ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন। মাঝে সৈকত আলি ১৭ বলে ১৮ করে আউট হন। ৫ বলে ১০ করেন রোমারিও শেফার্ড।
চাটগাঁ নিউজ/এমআর