সিপ্লাস ডেস্ক: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে আইনের বিদ্যমান অবস্থান থেকে সরকারের কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এই মন্তব্য করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের মুক্তচিন্তা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিকাশ ও সুরক্ষাবিষয়ক বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাঁকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। এরপর ছয় মাস পরপর তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার। সর্বশেষ কিছুদিন আগে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাঁর মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে।
বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে আসছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দ্রুত বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে গতকাল রোববার এক সমাবেশ থেকে আলটিমেটাম দিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতির বিষয়ে আজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১)-এর ধারার ক্ষমতাবলে শর্ত যুক্তভাবে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায়। এখন আইনের যে পরিস্থিতি, তাতে যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয়, তাহলে খালেদা জিয়াকে আগে যে শর্তযুক্ত মুক্তি, সেটিকে বাতিল করতে হবে।
বাতিল করে স-অবস্থানে (আগের অবস্থায়) যাওয়ার পর আবার অন্য বিবেচনা করা যাবে। আইন অনুযায়ী, এখন যে অবস্থান, আইনের সেই অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আবেদন সরাসরি আইন মন্ত্রণালয়ে করা যায় না। সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে হবে। আইন মোতাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনি মতামতের জন্য সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির পাশাপাশি তাঁকে দ্রুত বিদেশে পাঠানোর জন্য বিএনপির নেতাদের আলটিমেটামের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য নেই।