সিপ্লাস ডেস্ক: ‘ছায়াবাজ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে বাংলাদেশে এসেছিলেন কলকাতার নায়িকা সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। এসেই তিনি জড়িয়ে পড়েন বিতর্কে। প্রযোজক ও নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবুর বিরুদ্ধে অপেশাদারি আচারণের কারণে শুটিং শেষ না করেই কলকাতায় ফিরে গেছেন তিনি। নায়িকার এমন অভিযোগের পর তার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন প্রযোজক মনিরুল ইসলাম। ফলে অনিশ্চয়তায় পড়ে ছবিটি।
এই অবস্থায় প্রযোজক মনিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানালেন, ‘ছায়াবাজ’ সিনেমাটি নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। ছবিটি শেষ করতে পারব কিনা সেটা নিয়েও সংসয় তৈরি হয়েছে। তবে আমি আমার জায়গা থেকে সরছি না। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে সায়ন্তিতা ও জায়েদ খান যদি নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবুর কাছে ক্ষমা না চায় তাহলে অন্য চিন্তা করব। দরকার হলে তাদের বাদ দিয়ে অন্য নায়ক-নায়িকা নিয়ে শুটিং করব।’
‘ছায়াবাজ’ চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু হয়েছিল কক্সবাজারে। সেখানে ১০ দিনের মত শুটিং হয়েছে। সিনেমার জন্য এপর্যন্ত ২০ লাখ টাকার বেশি খরচ করেছেন প্রযোজক। এত টাকা খরচের পরও সিনেসাটির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত নয় মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘জীবনে অনেক টাকা লস হয়েছে। কিন্তু আমার কাছে মানসন্মানটাই বেশি বড়। মাইকেল বাবু হলেন আমাদের অবিভাবক। তাকে অপমান করা মানে আমাদের সবাইকে অপমান করা। এটা মেনে নেওয়ার মত না। যতি তারা ক্ষমা চান তাহলে নতুন করে আবার শুটিং করব। না হলে দেশের অন্য নায়ক নায়িকা নিয়ে কাজ করব।’
‘ছায়াবাজ’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য গত আগস্টের শেষ দিকে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসেন সায়ন্তিকা। কলকাতার এই নায়িকাকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়েছিলেন ছবির নায়ক জায়েদ খান।
ঢাকায় নেমেই শুটিংয়ে কক্সবাজারে ছুটে যান সায়ন্তিকা। শুটিং চলার কয়েক দিন পরই কলকাতার এই নায়িকার সঙ্গে জটিলতা তৈরি হয়। এরপর শুটিং শেষ না করে কলকাতায় চলে যান তিনি। দেশ ছাড়ার পরই প্রযোজক মনিরুল ইসলাম, নায়ক জায়েদ খান ও নায়িকা সায়ন্তিকাকে নিয়ে নানা ধরনের কথা চাউর হতে থাকে। একে অপরকে নিয়ে অসম্মানজনক ও অশ্রদ্ধাপূর্ণ কথাও বলেন।