চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নাশকতার অভিযোগে নগরের কোতোয়ালী থানার একটি মামলায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার এসআই মো. নওশের কোরেশী।
গ্রেফতার আসামির হলেন- মো. আজিজুল হক (৩৮), মো. কাইয়ুম হোসেন রিপন (৪৪), মো. নুরুল্লা (৪০), মো. সাজ্জাত হোসেন সানি (২৮), মো. ইসমাইল চৌধুরী (৫০), মো. নজরুল ইসলাম তানভীর (৩৪), রেজাউল করিম (৩২), মো. তরিকুর রহমান (২৭), মো. ইউনুচ (২৭), মো. রিপন (২২) ও মো. সাগর আলী (২৩)।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকালে গ্রেপ্তার আসামিদের চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। পরে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আসামিদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার (২৬ জুলাই) চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, এ মামলায় গ্রেপ্তার ৪ নং আসামি সাজ্জাত হোসেন ওরফে সানিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় আরও দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। সাজ্জাত চট্টগ্রাম নগরীর ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবুর এপিএস হিসেবে গুঞ্জন রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিল মো. শাহেদ ইকবাল বাবু চাটগাঁ নিউজকে বলেন, সাজ্জাত হোসেন আমার এলাকার ছেলে হিসেবে চিনি। সে একজন চাকরিজীবী। তবে জামায়াত শিবিরের সাথে তার সম্পৃক্ততা আছে কিনা আমার জানা নেই। গ্রেফতার হওয়ার পর একটা মহল সাজ্জাতকে আমার এপিএস হিসেবে প্রচার করছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার সচিব শহিদ আক্তার, সে সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত। সাজ্জাত আমার এপিএস এই ধরণের কোন প্রমাণ নেই।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা নিউমার্কেট মোড়ে ডিউটি করার সময় ১৯ জুলাই বিকেলে ৪-৫ হাজার জামায়াত, বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও তার অঙ্গ সংগঠনের উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা কোতোয়ালী মোড় হতে নিউমার্কেট মোড়ে বিভিন্ন উসকানিমূলক শ্লোগানের মাধ্যমে মিছিল নিয়ে একত্রিত হয়। এসময় মিছিলকারীরা রাস্তার পাশে বিভিন্ন দোকানপাটসহ ফুটপাতে থাকা স্থাপনা ও রাস্তায় চলাচলরত যানবাহনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
তখন বিক্ষোভকারীরা পুলিশের উপস্থিতি দেখামাত্রই পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। সে সময় পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাদান ও হুমকি প্রদান করে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
এসময় আসামিদের নিক্ষেপ করা ইট পাটকেলের আঘাতে পুলিশ সদস্য নিতাই চন্দ্র দাশ, মো. কামরুল হোসেন, আব্দুল মোনাফ, মো. হীরা দের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এসময় কোতোয়ালী মোড় থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য নিউমার্কেটের দিকে আসতে দেখলে আসামিরা ভাঙচুর করতে করতে জুবিলী রোড, এনায়েতবাজারের দিকে পালিয়ে যায়। পরে ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ