চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সদস্যরা হলেন- ভাল লাল বস বম (৩০), লাল মুন লিয়ন বম (৪২) ও জাবেল বম (২৩)। তারা সকলে থানচি উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিমলাম্পি পাড়ার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকালে গ্রেফতার আসামিদের পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজনভ্যানে করে বান্দরবান সদরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা সুরাইয়া আক্তার আসামিদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
এর আগে শুক্রবার (২৬ জুলাই) থানচি উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিমলাম্পি পাড়ার ৯ নং ওয়ার্ড থেকে যৌথবাহিনি অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ বলেন, থানচি থানায় দায়ের করা কেএনএফের ব্যাংক ডাকাতি-অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেফতার ৩ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আসামীদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ পর্যন্ত মোট ১১৮ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ১১৯ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন নারী রয়েছেন। যৌথ বাহিনীর টহলের ওপর হামলা করতে গিয়ে কেএনএফের মোট ১৭ জন নিহত হয়েছেন।
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত রুমা থানায় ১৩ টি ও থানচি থানায় চারটি, বান্দরবান সদর থানায় একটি এবং রোয়াংছড়ি থানায় তিনটিসহ সর্বমোট ২১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে