কুয়াইশে দুই আওয়ামী লীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : জেলার হাটহাজারী থানার কুয়াইশ বুড়িশ্চর এলাকায় দুই আওয়ামী লীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগষ্ট) রাতে নগরীর কুয়াইশ বুড়িশ্চর শেখ মো. সিটি কর্পোরেশন কলেজ এলাকায় নাহার গার্ডেন এর সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল সিএমপির বায়েজিদ বোস্তামী থানা ও হাটহাজারীর থানার মাঝামাঝি হওয়ায় ওই এলাকা দেখে হাটহাজারী থানার মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি।

নিহত দুজনের মধ্যে একজনের নাম মো. আনিস (৩৮)। তিনি পশ্চিম কুয়াইশ এলাকার ওসমান আলী মেম্বারের বাড়ির মৃত মো. ইসহাকের ছেলে। অপরজন হলেন-মাসুদ কায়সার (৩২)। তিনি হাটহাজারী ১৪নং শিকারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কোয়াইশ (বিল্লা বাড়ি) এলাকার মৃত মো. রফিকের ছেলে। এরা দুজনেই একই এলাকার। দুজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। উভয়ই হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুস গণি চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনার পর পুলিশ সেখানে গেছে। পুলিশ কাজ করছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তিদের বিস্তারিত পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে পুলিশ জানায়, আনিস ও কায়সার অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়ক ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তারা সড়কের নাহার কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজনই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। দুর্বৃত্তরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এসময় মাসুম কায়সার ঘটিনাস্থলে নিহত হলেও মাসুদ আনিস কিছুদূর দৌড়ে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে৷ পরে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ দুজনকে উদ্ধার করেন।

চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ গণমাধ্যমকে বলেন, অক্সিজেন–কুয়াইশ সড়কে গুলিতে দুজন গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থলেই মারা যান আনিস। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন কায়সারকে। নগর ও জেলা পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ হামলার জন্য শিবিরকে দায়ী করেছেন।

চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস

Scroll to Top