বাঁশখালী প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বাঁশখালী’র পুঁইছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ পুইছড়ি ৩নং ওয়ার্ড পুঁইছড়ি মাদ্রাসা সংযোগ সড়ক কালভার্টের বেহাল দশা। এলাকাবাসী ধারণা করছে, ১৯৯৬ সালে নির্মিত এই কালভার্ট বর্তমানে যানবাহন ত দূরের কথা মানুষ পা’য়ে হাঁটার অযোগ্য হয়ে গেছে দীর্ঘ এক যুগ ধরে। দিনে যেমন তেমন রাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এমনকি এই কালভার্টে পড়ে অনেক গবাদি পশু এমনকি ছোট ছোট বাচ্চা সহ অনেকের প্রাণহানি ঘটনা ও ঘটেছে । অন্যদিকে বর্ষার মৌসুম আসলেই কালভার্ট টি পরিণত হয় মরণ ফাঁদে একই সাথে শত শত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুরো দেশে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলে ও আমাদের এখানে গত এক যুগ ধরে কোন উন্নয়ন হয়নি যার চিত্র আপনারা দেখেন আমরা কি এই দেশের জনগণ নয়?
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও বলেন, আমাদের এলাকায় শুধু কালভার্ট নয় রাস্তা ঘাটের কি বেহাল অবস্থা আপনারা নিজেরা স্বচক্ষে দেখুন। আমার জানা মতে, এই ইউনিয়নের মধ্যে সর্বোচ্চ অবহেলিত আমাদের শুধু কালভার্ট নয় একই সাথে রাস্তা ঘাটের একই অবস্থা। আমরা সরকারের কাছে এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তারেকুর রহমানের ইউনিয়ন অফিসে গেলে স্থানীয় লোকজন জানায়, তিনি নাকি অফিস করে সপ্তাহে শুক্রবার, শনিবার দুইদিন তাই ওনার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে প্যানেল চেয়ারম্যান (এক) তানজিম সোলতানা বলেন, আমার মনমানসিকতা ভালো নাই কথা বলার এখন কোন বক্তব্য দিতে পারবো না পরে আসিয়েন বলে এড়িয়ে যায়।
এই ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ বলেন, কালভার্ট টি দেখে মনে হয় অনেক পুরাতন একটি কালভার্ট। অন্যদিকে বাঁশখালীটা একটু দুর্যোগ প্রবণ এবং সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা। এখানে এমনিতেই জোঁয়ার ভাটায় পানির অনেক উচ্চতা তাকে। তিনি আরও জানান, কালভার্ট ভেঙ্গে পড়ার বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে যতদ্রুত সম্ভব মেরামত করার উদ্যোগ গ্রহণ করবো একই সাথে কালভার্ট ভাঙ্গার বিষয়টি আমি নোট করে নিলাম।