সিপ্লাস ডেস্ক: চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর আনোয়ারা, কর্ণফুলী, পটিয়া ও বোয়ালখালী অংশে অবৈধ দখল, মাটি ভরাট এবং নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এই নির্দেশ বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করে দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্বপাশের জায়গা সিএস ও আরএস অনুযায়ী জরিপ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্বপাশের জায়গা দখল করে মাটি ভরাট বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। পরিকল্পনা সচিব, পরিবেশ সচিব, ভূমি সচিব, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে গত ১২ নভেম্বর ‘কর্ণফুলী নদী দখল করে তৈরি হচ্ছে ড্রাই ডক’—এই শিরোনামে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করে বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, কর্ণফুলী নদী দখল করে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় তৈরি হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানাধীন ‘ড্রাই ডক’। এতে নদী সংকুচিত হচ্ছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বলছে, নদী-সংক্রান্ত আইন ও হাইকোর্টের রায় লঙ্ঘন করে এই স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। এখনই সব ধরনের নির্মাণকাজ বন্ধ করা দরকার।