চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে বন্দরনগরী অধিকাংশ এলাকা জলবন্ধতার সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চট্টগ্রাম নগরীসহ আশে পশের জেলায় গতকাল রবিবার রাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে নগর জুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগ পড়েছে নগরবাসী। সকাল থেকে অফিসগামী মানুষ পড়েছেন চরম বিড়ম্বনায়।
রবিবার (২৬ মে) দিবাগত রাত থেকে শুরু হয় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি। অতি বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় নগরীর নিচু এলাকা। কোন এলাকায় হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর সমান পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নগরীতে পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকা কিংবা প্রতিবন্ধকতার কারণে নিচু সড়কে পানি জমে গেছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নগরবাসী।
চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া, নতুনব্রিজ, কাপাসগোলা, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, চকবাজার, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, ওয়াসার মোড়, তিন পোলের মাথা, মেহেদীবাগ সিডিএ কলোনি এলাকায় হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। নগরীর উপকূলীয় এলাকা পতেঙ্গার আকমল আলী রোড সংলগ্ন জেলেপাড়াও তলিয়ে গেছে জোয়ারের পানিতে।
এতে দুর্ভোগে পড়ে সেখানকার ৩ শতাধিক পরিবার। সোমবার (২৭ মে) জেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া চসিক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে নগরজুড়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২০৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
নগরীর বেসরকারী অফিস কর্মকর্তা আলী মোহাম্মদ আশরাফ বলেন, সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুর গড়াতেই সে বৃষ্টির তীব্রতা বৃদ্ধি পায় সঙ্গে দমকা হাওয়া৷ যার কারণে নগরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অফিসে যাওয়ার জন্য বের হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। কোথাও গাড়ি মিলছে না। গাড়ি মিললেও দ্বিগুণ ভাড়া চাচ্ছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা এমএইচএম মোসাদ্দেক জানান, রবিবার রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত করে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এরপর বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে। এর প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস