চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে আপিল বিভাগ। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
শুনানি চলাকালে প্রার্থিতা ফিরে পেতে একের পর এক যুক্তি তুলে ধরছিলেন সালাউদ্দিনের আইনজীবী। এক পর্যায়ে তার আইনজীবী আপিল বিভাগকে বলেন, বিশ্ববাসীর জন্য একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে সালাউদ্দিনকে এই সুযোগটুকু দেয়া প্রয়োজন। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনিও বক্তৃতাবাজি শুরু করলেন।
আপিল বিভাগ আরও বলেন, আপনার বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা চলবে কি না সেটা অর্থঋণ আদালত সিদ্ধান্ত নেবে। আপনারা পরের দিনই হাইকোর্টে চলে আসলেন। হাইকোর্টের তো এ ক্ষমতা নেই।
সর্বোচ্চ আদালত বলেন, মামলা ফাইল করেছেন ২০১৬ সালে ২০২৩ সালে এসে মনে হলো এমন একটা দরখাস্ত করা উচিৎ। পরে আপিল বিভাগ ঋণ খেলাপি হওয়ায় সালাউদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল করে দেন। এর ফলে আর নির্বাচন করতে পারবেন না এই নৌকার প্রার্থী।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কক্সবাজারের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান সালাহউদ্দিন আহমদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, জনতা ব্যাংকের লালদীঘি শাখা থেকে ফিস প্রিজারভারস নামের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে সালাহউদ্দিন আহমদসহ অন্য পরিচালকরা প্রায় অর্ধ শত কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। যা পরবর্তীতে খেলাপি হয়।
এরপর প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন হলেও ব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী সালাহউদ্দিন আহমদ এখনো সেই ঋণের একজন জামিনদার। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট অনুযায়ী সালাহ উদ্দিন আহমদ একজন ঋণখেলাপি ছিলেন।
এদিকে কক্সবাজার-১ আসনে ৯ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ। প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, ওয়ার্কার্স পার্টির মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম, জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী হোসনে আরা, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম ও জাফর আলমের ছেলে তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন।