কক্সবাজার প্রতিনিধি: বহুলপ্রত্যাশিত কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচন ছোটখাটো কয়েকটা ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ। এবার প্রতীক্ষা ভোট গণনার।
সোমবার (১২ জুন) সকাল আটটায় পৌরসভার ৪৩ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
তবে এ পর্যন্ত ১২ টি ওয়ার্ডের কোথাও বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসন নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছেন পৌর এলাকা।
এদিকে, বেলা ১ টার দিকে পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের টাকা দেয়ার অভিযোগে রোস্তাম নামক এক কর্মীকে আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে খবর পেয়ে নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তার কর্মীকে প্রশাসনের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেন।
অপরদিকে, ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশরাফুল হোসেন জামসেদের পক্ষে ভোটারদের টাকা দেয়ার সময় এক কর্মিকে হাতেনাতে আটক করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এ পর্যন্ত পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের অন্তত ১৯টি কেন্দ্র ঘুরে কোথাও গোলযোগ কিংবা ভোট কারচুপির অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
কিন্তু ইভিএমে সমস্যার কারণে বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম ধীরগতিতে চলেছে।
কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের ৪৩টি ভোটকেন্দ্রের ২৪৫টি কক্ষে ভোট গ্রহণ চলছে সকাল থেকে। মোট ভোটারসংখ্যা ৯৫ হাজার ৩৮৬। নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫৮ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী (নৌকা), স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত) মাসেদুল হক রাশেদ (নারকেল গাছ), জগদীশ বড়ুয়া (হেলমেট), মাসেদুল হকের স্ত্রী জোসনা হক (মোবাইল ফোন) ও মো. জাহেদুর রহমান (হাতপাখা)।
নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছেন পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই), তিনজন কনস্টেবল ও ১২ জন আনসার সদস্য। কেন্দ্রের বাইরে বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের পৃথক টিম দেখা গেছে।
কেন্দ্রের বাইরে কথা হয় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহীপ্রার্থী নারিকেল গাছের প্রার্থী মাসেদুল হক রাসেদ জানান, বেশ কিছু কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের বের করে দিচ্ছেন নৌকার প্রার্থীর পক্ষের লোকজন। এবিষয়ে রিটার্নিংকর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। শান্তিপূর্ণ ও নিরপক্ষ ভোট হলে বিজয় নিশ্চিত বলে দাবি করেন তিনি।
অপরদিকে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মাহাববুর রহমান চৌধুরী জানান, ২ নং ওয়ার্ডে নৌকার এজেন্টদের কে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমার কর্মীদের টাকা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। ভোট যে ভাবে শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে এতে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত বলে জানান মাবু।
ইতিমধ্যে ৩৩টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফল এসেছে, সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নৌকার প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী এগিয়ে আছে।