চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্রগ্রাম-১২ আসনে নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী তাঁর সমর্থক নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের হয়রানির অভিযোগ এনে পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) ও এসআইদের বদলি চেয়ে আবেদন করেছে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর আবেদন করে তিনি।
আওয়ামী লীগের এই প্রার্থীর অভিযোগ, চট্টগ্রাম-১২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য, সংসদের হুইপ সামশুল হকের পক্ষে থানার ওসি (তদন্ত) ও এসআই-সহ পুলিশ সদস্যরা ভূমিকা রাখছেন। তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের ঘরে ঘরে গিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। পটিয়া খানা থেকে প্রত্যাহার হওয়া নেজাম উদ্দিনের কথা মত এসব অফিসাররা নৌকার সমর্থিত লোকজনকে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগে মোতাহেরুল ইসলাম আরও বলেন, গত ২১ ডিসেম্বর ডিএম জমির উদ্দিনকে আইসিটি মামলায় জামিন থাকা সত্ত্বেও গ্রেফতার দেখানো হয়। পরবর্তীতে বাদী আপোষনামা দিয়ে মুক্ত হলেও– আদালত হতে বের হওয়ার আগমুহূর্তে ওসি তদন্ত মো. সোলাইমানের নির্দেশে মো. জমির উদ্দিনকে অপর একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। অপর একটি মিথ্যা মামলায় কুসুমপুরা ইউনিয়নের নৌকার সমর্থক আবদুল মান্নানের পিতা- কালা মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
হয়রানি করা পুলিশ সদস্যরা হলেন– পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. সোলাইমান, এসআই সঞ্জয় ঘোষ, মো. আসাদুর রহমান, রতন কান্তি দে, আকরাম হোসেন সুমন, শিমুল চন্দ্র দাস, জিয়া উদ্দিন, এএসআই মো. ফয়েজ আহমদ এবং এএসআই অনুপ কুমার।
অভিযোগে তিনি আরও বলেন, এই পুলিশ কর্মকর্তারা পটিয়া থানায় বহাল থাকলে– নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে না। তারা আমার কর্মী-সমর্থকদের ভীতি হয়রানির মধ্যে রেখে আমার প্রতিপক্ষকে পরোক্ষভাবে সহায়তা করছে।