আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘে জানিয়েছে, এমপক্স নিয়ন্ত্রণ এবং তা প্রতিরোধ করতে আগামী ৬ মাসে দরকার পড়বে মোট ১৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) জানায়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এমপক্স যাতে মানুষের মধ্যে আর ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য আগামী ৬ মাসে ১৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার প্রয়োজন পড়বে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডব্লিউএইচও প্রধান টেডরোজ অ্যাডহানম গিব্রেয়েসাস শুক্রবার জানিয়েছেন, এমপক্স নিয়ন্ত্রণ এবং তা প্রতিরোধ করতে আগামী ৬ মাসের ভেতরে এ অর্থ প্রয়োজন পড়বে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত বিভিন্ন দেশগুলোর সমন্বিতভাবে এ জন্য এগিয়ে আসতে হবে। এমপক্স আফ্রিকা থেকে শুরু করে ইউরোপ এবং এশিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। এটা এখন বিভিন্ন দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
টেডরোজ বলেন, ২০২২ সালে প্রথম এমপক্স বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১ লাখ রোগী শনাক্ত হয়েছে। যখন এমপক্সের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, তখন এটি কম ছড়িয়েছে। পরে আফ্রিকা থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
সেসময় এটি ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোতে (ডিআরসি) বিস্তৃতি লাভ করে। তখন সেখানে মোট ১৬ হাজার রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে এ বছর মোট ৫শ ৭৫ জন মারা গেছেন এমপক্সে।
এমপক্স ভাইরাস দুটি স্ট্রেইনে ছড়িয়ে পড়ে। এর একটি ক্লেইড ১বি স্ট্রেইন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে ১৪ আগস্ট জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ডব্লিউএইচও প্রধান টেডরোজ অ্যাডহানম গিব্রেয়েসাস বলেন, বিগত মাসগুলোতে ক্লেইড ১বি ডিআরসি’র প্রতিবেশী ৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রতিবেশী দেশগুলি হচ্ছে, বুরুন্ডি, কেনিয়া, রুয়ান্ড এবং উগান্ডা।
এরপর এ সপ্তাহে এমপক্সে ক্লেইড ১বি স্ট্রেইন থাইল্যান্ড এবং সুইডেনে ধরা পড়ে।
তিনি বলেন, মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়া রোধে আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক, জাতীয় এবং স্থানীয়ভাবে সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। এজন্য মোট ১৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার প্রয়োজন পড়বে।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে