চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এবারের নির্বাচন একটা যুগান্তকারী ঘটনা। নির্বাচন নিয়ে এত আগ্রহ আগে কখনো দেখিনি। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য। এবারের নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী মনোনয়ন করার পাশাপাশি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। এ বিজয় আমার নয়, জনগণের।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় গণভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, আটবার নির্বাচন করেছি, এবার আবার। এবার জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষ উন্নত জীবনের অধিকারী হবে। বাবা যে আদর্শ নিয়ে কাজ করেছেন, আমাকে সেই কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট। আমার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছোট বোন শেখ রেহানা আর আমি বেঁচে যাই। ছয় বছর আমরা রিফিউজি ছিলাম। খুব কষ্টকর জীবন। ১৯৮১ সালে দেশের মানুষ আমাকে দেশে আনে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর লক্ষ্য সম্পর্কে বলেন, মিলিটারি ডিক্টেটররা আমার দলকে রাজনীতি করতে দেয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে তাদের ক্ষমতায় বসায়। ওই অবস্থায় আমি দেশে ফিরি। আমার লক্ষ্য ছিল, মানুষের ভোটাধিকার রক্ষা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আমার চলার পথ সহজ ছিল না। মৃত্যুকে বারবার কাছ থেকে দেখেছি। বাবার আদর্শ নিয়ে কাজ করছি। মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছি। ২১ বছর পর সরকার গঠন করে মানুষের জন্য কাজ শুরু করি।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, একটি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। মিলিটারি ডিক্টেটর থেকে যে দল সৃষ্টি তারা নির্বাচন ভয় পায়, কারণ তাদের জনসমর্থন থাকে না।
এ সময় তিনি বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের বাংলাদেশে আসার জন্য নিজের এবং পরিবার ও দেশের মানুষের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনারা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন, আমাদের দেশের কথা বলবেন। আমাদের দেশটা অনেক সুন্দর।
উক্ত মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক, বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানাসহ প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে পুতুল ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
চাটগাঁ নিউজ/এমএসআই