উখিয়ার বালুখালীতে ফুটবল খেলার নাম দিয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়ে নীরব চাঁদাবাজি

উখিয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী এলাকায় পশ্চিম বালুখালী ক্রীড়া পরিষদের আয়োজনে পশ্চিম বালুখালী গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা দেখতে শতশত রোহিঙ্গা কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে আসছেন। খেলা শেষে সন্ধ্যা হয়ে গেলে ক্যাম্পের বাহিরে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়ানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গারা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ারা আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শতশত রোহিঙ্গা অভাবে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে বালুখালি খেলা দেখতে এবং খেলতে আসছেন। খেলা পরিচালনা কমিটির তাদের থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।খেলা শেষে সেখান থেকে কেউ কেউ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কিছুদিন আগে রোহিঙ্গা এবং স্থানীয়দের মাঝে বড় ধরনের সংঘাতে আশঙ্কা ছিল। রোহিঙ্গা এবং স্থানীয়দের খেলাকে কেন্দ্র বড় ধরনের ঝগড়াঝাটিতে পরিনত হয়েছিল। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মীমাংসা করা হয়৷ এই খেলা চলতে থাকলে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পশ্চিম বালুখালী ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আলা উদ্দিন আজাদ থেকে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে জানান, আমরা উপজেলা থেকে অনুমতি নিয়ে এই খেলা পরিচালনা করেছি। এখানে যেমন স্থানীয়দের আসতে সমস্যা নেই ঠিক তেমনি রোহিঙ্গাদের আসতেও সমস্যা নেই। আমরা স্থানীয়দের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদেরও টিম দিয়েছি। চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যায়।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, আমার সাথে কোনো পরামর্শ না করে পালংখালী ইউনিয়নে এই খেলা পরিচালনা করছে তবে আমি এটা বিপক্ষে কারণ এখান থেকে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করা যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে বলতে আমি এখন পাগল হয়ে গেছি। রোহিঙ্গারা এখন সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যাচ্ছে। তারা খেলা দেখা বা বাজারের বাহানা দিয়ে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব জানান, রোহিঙ্গাদের নিয়ে খেলা পরিচালনা করার অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি যদি কেউ উপজেলা প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে এমন কর্মকাণ্ড করে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উখিয়া অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, এ বিষয়ে অবগত হয়েছি, এ ধরণের খেলার জন্য আমাদের থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি। এই খেলা খুব শিগগিরই বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর যারা অনুমতি বা প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Scroll to Top