উখিয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতাকে গোলাবারুদসহ গ্রেফতারের খবর জানিয়েছে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান জানান, সোমবার ভোর থেকে কুতুপালং ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে র্যাবের গোলাগুলির পর ওই দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন– জঙ্গি সংগঠনটির শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান রণবীর এবং তার সহযোগী ‘বোমা বিশেষজ্ঞ’ বাশার। তাদের কাছ থেকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধারের কথাও জানিয়েছেন র্যাব।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম ও আইন) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার’ শীর্ষস্থানীয় এক নেতাসহ কতিপয় সশস্ত্র সদস্যের অবস্থান করার খবরে র্যাবের একটি দল কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় অভিযান চালায়।
“ঘটনাস্থলে পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। সে সময় সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয় এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। এখনও সেখানে গোলাগুলি চলছে।”
অভিযানের দুটি ভিডিও ক্লিপও র্যাবের তরফ থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে, সেখানেও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়।
এদিকে কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের কয়েক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, আশ্রয়শিবিরে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা), আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনসহ (আরএসও) ১৪ থেকে ২০টি রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র পক্ষ আছে। এর মধ্যে নতুন জঙ্গি সংগঠনের অবস্থান সাধারণ রোহিঙ্গাদের ভাবিয়ে তুলেছে। গত চার মাসে এই সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২৩ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫ জন আরসা, ১১ জন রোহিঙ্গা মাঝি (নেতা) ও অন্যরা সাধারণ রোহিঙ্গা। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরসার প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিসহ শতাধিক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় পৃথক চারটি মামলা হলেও এখনো মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে।