উখিয়া প্রতিনিধিঃ উখিয়ায় বনবিভাগের বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন উখিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে সোমবার (৮ এপ্রিল) চট্টগ্রামের বন্দর থানা থেকে এ হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী ডাম্পার চালক বাপ্পীকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. রাসেল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাপ্পি জানিয়েছে ঘটনার সময় চালক বাপ্পির পাশের আসনে ছিলেন এ মামলার ১০নং আসামী রাজাপালংয়ের হরিণমারা এলাকার শাহ আলমের ছেলে কামাল উদ্দিন ড্রাইভার। ঘটনার ২ দিন আগে কামাল উদ্দিন ড্রাইভারসহ হরিণমারা থেকে আরো কয়েকটি ডাম্পার আটক করে মামলা দেয় নিহত বন কর্মকর্তা সাজ্জাদ। সেকারণেই কামাল উদ্দিন ড্রাইভারসহ এ মামলার আসামীরা আগে থেকেই পরিকল্পনা করতে থাকেন বন কর্মকর্তা সাজ্জাদকে দায়িত্ব পালনকালীন যেখানে পাবে সেখানে হত্যা করবে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন ভোর ৩টার দিকে হরিণমারা এলাকায় সাজ্জাদ অভিযানে যান। বন থেকে পাহাড়ের মাটি নিয়ে বের হতে দেখা ডাম্পারটিকে থামার জন্য সংকেত দেন সে। কিন্তু চালক বাপ্পি গাড়ি না থামিয়ে সাজ্জাদকে চাপা দিয়ে হত্যা করে ডাম্পারটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ডাম্পারটি নিয়ে পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাহাড়ী এলাকায় রেখে পালিয়ে যায় আসামী বাপ্পি। পরে সেখান থেকে উখিয়া থানা পুলিশ হত্যায় ব্যবহৃত ডাম্প ট্রাকটি (ডাম্পার) নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে জব্দ করে ঘটনার দিন দুপুরে থানায় নিয়ে আসে। চালক বাপ্পি ঘটনার পরপর তার মোবাইল এবং সিম নষ্ট করে ফেলে দিয়ে চট্টগ্রামে আত্নগোপনে চলে যায়। পুলিশ সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, ৩১ মার্চ ভোররাতে উখিয়ার রাজাপালংয়ের হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি ডাম্পার করে পাচারের সংবাদ আসে নিহত বনকর্মকর্তা সাজ্জাদের কাছে। তিনি সাথে সাথে সেহেরি শেষ করে রেঞ্জের বনরক্ষী মো. আলীসহ মোটরসাইকেল নিয়ে হরিণমারায় অভিযানে যান। সেখানেই ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট করে সাজ্জাদকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১ এপ্রিল উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা বাদী হয়ে উখিয়া থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও অজ্ঞাত দেওয়া আরও ৫/৬ জনকে মামলার আসামী করা হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত দুইজন আসামী আটক হয়েছে। মামলার ৫নং আসামী ছৈয়দ করিম (৩৫) ও প্রধান আসামী ডাম্পারের চালক বাপ্পি (২৩)। ছৈয়দ করিম আগে আটক হন, তিনি এখন জেলে আছেন।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন