নিজস্ব প্রতিবেদক : আর কয়েকদিন পরেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। আর ঈদকে সামনে রেখে রোজার শেষ সময়ে নগরীর শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। পরিবার-পরিজনের জন্য ঈদের কেনাকাটা করতে ব্যস্ত সময় পার করছে নগরবাসী।
ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর মার্কেট ও রাস্তাঘাটে সক্রীয় হয়ে ওঠেছে চোর-ছিনতাইকারীরা। তবে নগরীতে চোর-ছিনতাইকারী এবং চাঁদাবাজদের উৎপাতের আশংকা নেই বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার। ক্রেতারা যাতে নিরাপদে-নির্বিঘ্নে শপিং করতে পারে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন তিনটি নামিদামি শপিংমল সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ছিনতাই, প্রতারণা, মোবাইল চুরিসহ যেকোনো ধরনের অপরাধ সংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত পুলিশকে জানানোর আহ্বানও জানান তিনি।
সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গত ২০-২১ দিন ধরে আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পেরেছি। আমি আশা করছি, রমজানের বাকি যে দিনগুলোতেও ক্রেতাসাধারণ নিরাপদে কেনাকাটা করতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘মার্কেটকেন্দ্রীক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। নগরীতে অপরাধ একদম হয়না সেটি আমি বলবো না। তবে আমরা সচেষ্ট আছি। আমাদের টিম রাস্তাঘাটে পাহারায় আছে, সাদা পোশাকে লোক বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে। আমরা চেষ্টা করছি, পুরো শহরটাকে সিসিটিভি ফুটেজের আওতায় নিয়ে আসার।’
‘ঈদের দিনও আমরা ঈদের জামায়াত কেন্দ্রীক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিবো। অতীত অভিজ্ঞতা আমাদের আছে কিভাবে কি করা দরকার। সেটার আলোকে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়ে দিবো। ঈদে শহর ছাড়ার আগে বাসার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অটুট রাখতে অনুরোধ করেন সিএমপি কমিশনার।’
পরিদর্শনকালে পুলিশ কমিশনার ব্যবসায়ী, বিক্রয়কর্মী এবং ক্রেতাসাধারণের সাথে মতবিনিময় করেন। ক্রেতা, বিক্রেতা ও ব্যবসায়ী সমিতির কোনো সমস্যা আছে কিনা তা জানতে চান তিনি।
এসময় সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহতাব উদ্দিন, সিএমপি ট্রাফিকের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাসুদ আহাম্মদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) জয়নুল আবেদিন টিটো, পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমাসহ সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ