সিপ্লাস ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় একই পরিবারের ১৯ জন নিহত হয়েছেন। গত শনিবার গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের ইসরাইলে আকস্মিক হামলা চালানোর জবাবে তিন দিন ধরে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল।
একই সঙ্গে পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারানো ৫৭ বছর বয়সি ফিলিস্তিনি নাসের আবু কুতা মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, তার চারতলা বাড়িতে বোমা হামলা চালায় ইসরাইল। ওই সময় বাড়িতে নারী ও শিশুরা ছিল।
তিনি জানিয়েছেন, হামলার আগে তাকে কোনো সতর্কতাবার্তা দেওয়া হয়নি। গাজায় কোনো ভবনে হামলা চালানোর আগেই সাধারণত সতর্কতা দেয় ইসরাইল। সেই সঙ্গে বাসিন্দাদের সরে যেতে বলে।
নাসের আবু কুতা জানান, ইসরাইলের পক্ষ থেকে সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল, তার এক প্রতিবেশীর বাড়িতে বোমা হামলা চালানো হবে। কিন্তু সেই বাড়ির বদলে তার বাড়িতে বোমা ফেলা হয়। এতে তার স্ত্রী ও ভাই-বোনসহ পরিবারের ১৯ জন নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া ওই বোমার আঘাতে নাসের আবু কুতার পাঁচ প্রতিবেশীও নিহত হয়েছেন। হামলার সময় তারা পাশে অবস্থান করছিলেন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, হামাসের হামলার পর গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল।
গাজায় অব্যাহত এ বোমা হামলার বিষয়টি স্থল হামলার অংশ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। প্রথমে বোমা হামলা চালিয়ে গাজার বিভিন্ন ভবন ধসিয়ে দেওয়ার পর সেখানে ইসরাইলি সেনাদের পাঠানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত চার শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে হামাসের হামলায় প্রাণ হারিয়েছে সাত শতাধিক ইসরাইলি।
এর আগে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দীর্ঘ বছরের দমন-পীড়ন, গণহত্যা, অবৈধ বসতি স্থাপন, সাম্প্রতিক সময়ে বসতি স্থাপনকারীদের হামলাসহ নানা শোষণ-বঞ্চনার প্রতিবাদে ওই হামলা চালানো হয়।