ক্রীড়া ডেস্ক: এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চিটাগাং কিংসের হোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন কানাডিয়ান মডেল ইয়েশা সাগর। টুর্নামেন্টে রীতিমতো ঝড় তুলেন তিনি। খেলা দেখার চেয়ে বরং তাক দেখতেই দর্শকদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে।
তবে টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার আগেই তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বিরুদ্ধে অপেশাদারিত্বের অভিযোগ করেন। এবার এই অভিযোগের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে চিটাগাং কিংস।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে চিটাগাং কিংস জানায়, ‘বিপিএল চলাকালীন ইয়াশা সাগরের অপেশাদার আচরণ আমাদের হতাশ করেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজির অনুমতি ছাড়াই দেশ ছেড়ে যাওয়া তার চুক্তিভঙ্গের স্পষ্ট উদাহরণ।’
এর আগে ইয়াশা ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছিলেন, চট্টগ্রামে অবস্থানকালে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন।
তবে চিটাগাং কিংসের দাবি— ‘যদি সত্যিই নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকত, তবে তিনি টুর্নামেন্টের শুরু থেকে অংশগ্রহণ করতেন না বা এক মাসের বেশি সময় বাংলাদেশে অবস্থান করতেন না। তার আকস্মিক দেশত্যাগের কারণ নিরাপত্তা নয়, বরং চুক্তি লঙ্ঘন করে ভারতে লিজেন্ডস-৯০ টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার পূর্বপরিকল্পিত পদক্ষেপ ছিল।’
পাসপোর্ট সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি জানায়, ‘ইয়াশা ১৯ জানুয়ারি তার পাসপোর্ট আমাদের কাছে জমা দেন। ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি সরকারি ছুটি থাকায় ২৮ জানুয়ারি তার পাসপোর্ট ফেরত চাওয়া অযৌক্তিক ছিল।’
চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের কারণে ইয়াশাকে পুরো অর্থ প্রদান না করার বিষয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি জানিয়েছে, ‘চুক্তির শেষ ৫০% অর্থ লিগের শেষ সপ্তাহে দেওয়ার কথা ছিল। তবে তিনি শর্ত পূরণ না করে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির অনুমতি ছাড়াই অন্য ইভেন্টে অংশ নিয়ে চুক্তি ভঙ্গ করেছেন।’
চিটাগাং কিংসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ইয়াশা সাগরের আচরণ পুরোপুরি অপেশাদার। ফ্র্যাঞ্চাইজির অনুমতি ছাড়া দেশ ত্যাগ এবং আনুষ্ঠানিক সমাধানের চেষ্টা না করেই বিষয়টি মিডিয়ায় তোলার মাধ্যমে তিনি তার দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।’
শেষে তারা বলেন, ‘যদি ইয়াশা মনে করেন তিনি সৎ ছিলেন, তবে তার বাংলাদেশে থেকে আইনি নোটিশের জবাব দেওয়া উচিত ছিল এবং বিপিএল চলাকালীন অন্য কোনো লিগে অংশ নেওয়ার পরিবর্তে ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল।’
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ