ইতিহাসে নাম লেখালেন নাহিদ ও আসিফ

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা হয়ে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শুরু থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন নাহিদ ও আসিফ। শেখ হাসিনা সরকারের নানা জুলুম অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করেছেন। আন্দোলন চলাকালে দুজনকেই প্রথম গুম করে নেওয়া হয়েছিল। এরপর মুক্ত করে দেওয়া হলেও হাসপাতাল থেকে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলে ডিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের থেকে জোরপূর্বক আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা নেওয়া হয়েছে। তবে ডিবি হেফাজত থেকে বের হয়ে আবারও তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত বিজয় নিয়ে ফিরেছেন। তবে এই দুই সমন্বয়ককে দেখা যাবে নতুন রূপে।

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হতে যাওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দেখা যাবে তাদের। বাংলাদেশের অতীত ইতিহাসে শিক্ষার্থীদের থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে কখনোই কোনো প্রতিনিধি ছিলোনা। তবে এবার উপদেষ্টা হিসেবে নিজেদের নাম লিখিয়ে নতুন ইতিহাসই গড়েছেন।

এর আগে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৬ ও ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু বিগত ৫ সরকারের কোনোটিতেই শিক্ষার্থীদের থেকে কোনো প্রতিনিধি ছিলো না। ১৯৯১ সালে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের সরকার গঠন করা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের সরকার গঠন করা হয়েছিল। ২০০১ সালে বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের সরকার গঠন করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বেও ১১ সদস্যের সরকার গঠন করা হয়েছিল। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে ড. ফখরুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে প্রথমে ১১ সদস্যের ও পরে ১২ সদস্যের তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছিল। এসকল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মধ্যে এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক উপদেষ্টার সমন্বয়ে সরকার গঠন করা হয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ স্থান পেয়েছে।

উল্লেখ্য, নাহিদ ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ও আসিফ মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। রাজনৈতিকভাবে নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ প্রথমে ভিপি নূর এর ছাত্র অধিকার পরিষদের ছিলেন। পরবর্তীতে ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে বের হয়ে তারা ছাত্রশক্তি নামে নতুন করে কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

চাটগাঁ নিউজ/এআইকে/এসএ

Scroll to Top