আশার পালে হাওয়া— কালুরঘাট নতুন সেতুর কাজ শুরু ফেব্রুয়ারিতে

মতবিনিময় সভায় সেতু উপদেষ্টা

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক :  দক্ষিণ চট্টলার বোয়ালখালীবাসীর দীর্ঘদিনের চাওয়া কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজ আগামী ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি দৃঢ় চিত্তে এই ঘোষণা দেন। ফলে আবারও আশার পালে হাওয়া লেগেছে বোয়ালখালীবাসীর অন্তরে। যদিও শঙ্কার কালো মেঘ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ বিগত সরকারের আমলের বিভিন্ন সময়ে এই কালুরঘাট সেতু নিয়ে আশান্বিত ছিলেন তারা।

উপদেষ্টা তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, ভুলে যাবার আগে বলি, কালুরঘাট সেতুর কাজ কখন চালু হবে তা নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন একজন। আমরা আশা করছি, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কালুরঘাট নতুন সেতুর কাজ শুরু  করতে পারবো।

চট্টগ্রামে আমি আরেকটি কাজ দেখতে এসেছি, টানেল। কোনো গাড়ি দেখলাম না। এটি একটা অপরিকল্পিত পরিকল্পনা। আসলে পরিকল্পনা ছিলো- মাতারবাড়িতে একটা গভীর সমুদ্রবন্দর হবে। সেখানে যাতায়াতের জন্য একটা সড়ক সংযোগ হবে, একটা ইকনোমিক জোন হবে। কিছুই হয়নি। শুধু সেখানে একটা বিদ্যুৎ প্লান্ট হয়েছে। আর এখানে একটা টানেল হয়ে গেছে। অপচয়ের উন্নয়ন আমরা করতে রাজি না।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো ক্ষমতা গ্রহণ করেনি। আমরা একটা দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। দায়িত্ব ও ক্ষমতার মধ্যে একটা মৌলিক পার্থক্য আছে। ক্ষমতা হলে গায়ে একটু গরম, গরম লাগে। নিজেকে খুব বড় মনে হয়। অন্যদিকে আপনি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, নিজেকে খুব খাটো মনে হয়। সবসময় মনে হয়, আমি আমার কাজটি করতে পারছি তো?

এসময় উপদেষ্টা ফাওজুল বলেন, আমাদের একটা রিফাইনারি আছে। অনেক পুরানো। যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। আমরা দ্বিতীয় রিফাইনারির উদ্যোগ নিয়েছি। আপনারা জানেন দুর্বৃত্তায়নের কারণে নতুন রিফাইনারি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি। ইস্টার্ন রিফাইনারির কাজটা আমরা সহসা হাতে নেবো।

বিদ্যুৎখাতে সুখবর আছে জানিয়ে উপদেষ্টা ফাওজুল বলেন, বিদ্যুৎখাতে কিছু সুখবর আছে। একটা সুখবর হচ্ছে- সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল আইনের মাধ্যমে। ২০১০ সালে এই আইন করা হয়েছিল। এটি হলো দ্রুত লেনদেনের আইন। এটা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ হয়েছিল। শাহদীন মালিক এটাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। হাইকোর্ট আইনটিকে সংবিধান বিরোধী বলেছেন। আপনারা জানেন আমাদের চুক্তিগুলো আন্তর্জাতিক চুক্তি। চাইলেই বা সহজেই বের হওয়া যায় না। এজন্য আমরা ধীরস্থির ভাবে এগুচ্ছি।

ফাওজুল কবির আরও বলেন, গ্যাসের সংকটের কারণে প্রতিবছর ৬ হাজার কোটি টাকার গ্যাস আমদানি হয়। এ বছরই আমরা ৫০টি কূপ খনন করবো। আগামী দুই বছরে আরও একশটি কূপ খনন করবো। জ্বালানি আমাদানি করাটা সহজ। সে কাজটা করা হয়নি। কিন্তু কূপ খনন করে গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করার চেষ্টাটাও হয়নি। আমরা নবায়নযোগ্য একটি শক্তিতে বিনিয়োগ করতে চাই।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম উন্নয় কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ হাসান, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল হোসেন প্রমুখ।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ/এসএ

Scroll to Top