আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাহমুদ উল্লাহর ১৬ বছর

সিপ্লাস ডেস্ক: বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিখ্যাত পঞ্চপাণ্ডবের অন্যতম মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। যিনি এখন কোনো ফরম্যাটেই আর জাতীয় দলে সুযোগ পান না। টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন সেই ২০২১ সালে। এরপর সাদা বলের ক্রিকেট খেলে গেছেন।

কিন্তু পারফরম্যান্সের কারণেই এখন আর তিনি সাদা বলে বিবেচিত হন না। তাই নীরবে-নিভৃতেই কেটে যাচ্ছে মাহমুদ উল্লাহর আন্তর্জাতিক অভিষেকের ষোড়শ বর্ষপূর্তি।
২০০৭ সালের ২৫ জুলাই কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয় মাহমুদ উল্লাহর। মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বে সাত নম্বরে নেমে করেছিলেন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান।

তার পর থেকে ধীরে ধীরে সাত নম্বর পজিশনটাই মাহমুদ উল্লাহর জন্য বরাদ্দ হয়ে যায়। এই পজিশনে ব্যাট হাতে নেমে অনেকবার তিনি দলকে টেনেছেন। জয় এনে দিয়েছেন, আবার ৩ বলে ২ রান নিতে না পারার আক্ষেপেও ডুবিয়েছেন। একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর কেনিয়ার বিপক্ষে তার টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়।
তবে টেস্ট অভিষেকের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে আরো দুই বছর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংস্টনে ২০০৯ সালের ৯ জুলাই টেস্ট ক্যাপ মাথায় তোলেন মাহমুদ উল্লাহ। ‘সাইলেন্ট কিলার’ খ্যাত এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার ৫০ টেস্টে ৩৩.৪৯ গড়ে করেছেন ২৯১৪ রান। ৫ সেঞ্চুরির পাশে আছে ১৬টি ফিফটি। ৬৬ ইনিংসে অফ স্পিনে হাত ঘুরিয়ে নিয়েছেন ৪৩ উইকেট।

এ ছাড়া ২১৮ ওয়ানডেতে ৩৫.৩৫ গড়ে ৪৯৫০ রান আর ৮২ উইকেট নিয়েছেন রিয়াদ। এই ফরম্যাটে তার সেঞ্চুরি তিনটি, ফিফটি ২৭টি। দেশের জার্সিতে ১২১টি টি-টোয়েন্টি খেলে ২৩.৫৭ গড়ে ২১২২ রান করেছেন রিয়াদ। ফিফটি ছয়টি, সর্বোচ্চ ৬৪*।সেই মাহমুদ উল্লাহ এখন জাতীয় দলে ব্র্যাত্য। ঘরোয়া লিগেও পারফরম করতে পারছেন না। কেউ পরিষ্কার করে না বললেও গুঞ্জন আছে, তিনি আসন্ন এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় নেই। তবু তার অসংখ্য ভক্ত আরো একবার মাহমুদ উল্লাহকে জাতীয় দলে দেখতে চান। সময়ই বলে দেবে, মাহমুদ উল্লাহর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার কোন দিকে মোড় নেয়।

Scroll to Top