আনোয়ারা প্রতিনিধি : দুই লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে না পেয়ে কুরবানী পশুর চামড়াবাহী একটি ট্রাক ৪ ঘন্টা ধরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমদের বিরুদ্ধে। ফলে চামড়া নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক কম মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, সারাদিন সাতকানিয়ার একটি মাদ্রাসায় সংগৃহীত ১২৫ চামড়া নিয়ে আড়তে যাওয়ার সময় কালা বিবির দীঘি এলাকায় গাড়িটি আটকে রাখে পুলিশ।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ- সাতকানিয়ার ‘দক্ষিণ চরতি মজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি একটি ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসার মিসকিন ফান্ডে বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২৫ পিস কোরবানি গরুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়। রাত ১২ টার দিকে একটি ট্রাকে করে চামড়াগুলো চট্টগ্রাম নগরীর আতুরার ডিপো আড়তে নেয়ার পথে আনোয়ারা থানার ওসির নির্দেশে এস আই নাঈমের নেতৃত্বে একটি টহল টিম। তারা ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না পেয়ে গাড়িটি থানায় নিয়ে আটকে রাখা হয়।
পরে নানাভাবে অনুরোধের ভোর রাতে ওসি গাড়িটি ছাড়তে রাজী হলে ততক্ষণে চামড়ায় পচন ধরে। ভোরে আড়তে পৌঁচলে চামড়া মান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্রতি চামড়া মাত্র ৫০ টাকায় বিক্রি করতে হয়।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য ড. মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, চামড়া দেশের সম্পদ। আনোয়ারা পুলিশ চামড়ার গাড়ি নিয়ে যা করল তা দেশের ক্ষতি। এতে দেশ ও মাদ্রাসাটি ক্ষতির মুখে পড়ল।
এ ব্যাপারে আনোয়ারা থানার এসআই হোসেন ইবনে নাঈম ভুঁইয়া বলেন, আমাদের একটি নির্দেশনা ছিল। । এভাবে যাতে মহাসড়কে চামড়ার গাড়ি চলাচল না করে। সে জন্য আমরা গাড়িটি আটক করি। পরে মাদ্রাসার গাড়ি জানতে পেরে ছেড়ে দিই।
অভিযোগের বিষয়ে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি অসুস্থ দাবী করে পরে কথা বলবেন বলে জানান। পরে অবশ্য তিনি আর ফোন ধরেননি।
চাটগাঁ নিউজ/সাজ্জাদ/এসআইএস