আনোয়ারা প্রতিনিধি : কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল কেইপিজেডে আমেরিকান এন্ড ইফার্ড (বাংলাদেশ) লিমিটেড নামের একটি কারখানায় খাবারের টেন্ডার পেতে কারখানার এক নারী কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে দল থেকে বহিষ্কারের পরে এবার দক্ষিণ জেলা ও উপজেলা যুবদলের দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবদল৷
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুঁইয়ার স্বাক্ষরিত দুইটি আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
তারা হলেন- দক্ষিণ জেলা যুবদলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল করিম ও আনোয়ারা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্বাস নুর।
ওই নোটিশে দুজনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, তারা গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও সংগঠনের নিয়মবহির্ভূত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এমতাবস্থায়, সংগঠন বিরোধী এহন কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদেকর সম্মুখে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা যুবদলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল করিম বলেন, আমাকে দেওয়া কারণ দর্শানোর নির্দেশ কেন্দ্র থেকে এমনে দিয়েছে। ভয় লাগানোর জন্য। এটা সমস্যা নেই। কেন্দ্রের শীর্ষ নেতাদের সাথে আমার ভাল সম্পর্ক। কেন্দ্রকে আমি বলব আমাকে সেইদিন কেইপিজেড অফিসে দক্ষিণ জেলা যুবদলের এক শীর্ষ নেতা পাঠিয়েছে।
জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে কেইপিজেড অফিসে প্রবেশ করে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনসহ কয়েকজন নেতাকর্মী ওই কারখানার এক নারী কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। পরে ওই যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই ঘটনায় বহিষ্কৃত উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের সাথে দক্ষিণ জেলা যুবদলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল করিম ও আনোয়ারা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্বাস নুর ঘটনাস্থলে ছিল। তা সিসি ফুটেজে স্পষ্ট ধরা পড়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান বলেন, দক্ষিণ জেলা ও উপজেলা যুবদলের গুরুত্বপূর্ণ পদের দুই নেতার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানো নোটিশ কেন্দ্র থেকে মেইলে পেয়েছি। বাকিগুলো কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিবে।
চাটগাঁ নিউজ/সাজ্জাদ/এসএ