আনোয়ারা প্রতিনিধি : আনোয়ারা উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রভাব দেখিয়ে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ‘আনোয়ারা ক্রিকেট একাডেমি’ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর সাংবাদিক সুমন শাহের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন একাডেমির পরিচালক মো. ফিরোজ খান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফিরোজ খান ২০১২ সালে উপজেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার অনুমোদনক্রমে আনোয়ারা ক্রিকেট একাডেমি নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। যা আনোয়ারার কিশোর-তরুণদের ক্রিকেট উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে। অভিযুক্ত সুমন শাহ একাডেমির ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
২০২৩ সালে পরিচালক ফিরোজ খানের অসুস্থতার কারণে তিনি বিদেশে অবস্থান করার সুযোগে আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে আনোয়ারা উপজেলা ক্রিকেট একাডেমি নাম দিয়ে সংগঠনটি দখল করে নেয় সুমন শাহ।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, আমার দীর্ঘদিনের সুনামের সাথে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নাম রটিয়ে, আনোয়ারা ক্রিকেট একাডেমির শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক তার নতুন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে বাধ্য করে এবং আমার প্রতিষ্ঠানের জার্সি, ব্যানার, ফেস্টুনের নাম পরিবর্তন করে ফেলে। বিগত আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের নেতাদের ক্রিকেট একাডেমির উপদেষ্টা বানিয়ে ক্রিকেট একাডেমির নাম দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে নিজের পকেট ভারী করতে থাকে সুমন শাহ।
আমি এসবের প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর ও মামলা জড়ানোর হুমকি প্রদান করে সে। আনোয়ারা স্কুল মাঠে আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোনোরূপ প্রশিক্ষণ করাতে দেয়নি। আনোয়ারা ক্রিকেট একাডেমির ফেসবুক আইডির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উপজেলা ক্রিকেট একাডেমির প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সুমন শাহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এসব অপকর্ম করেছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ফিরোজ খান চাটগাঁ নিউজকে বলেন, আমার এক যুগের তিলে তিলে গড়া প্রতিষ্ঠান সে (সুমন শাহ) বেআইনিভাবে দখল করে নিয়েছে। যার ফলে আমি আর্থিক, সামাজিক এবং মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমার হাতে গড়া শিক্ষার্থীদের সে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার গড়া একাডেমিতে ভর্তি হতে বাধ্য করে। আমার এ বিষয়টি আমলে নিয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার আশা করছি।
তবে অভিযুক্ত সাংবাদিক সুমন শাহ বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাটগাঁ নিউজ/সাজ্জাদ/জেএইচ