চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে এবং বির্তকিত ভুমিকার কারণে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহ ৪ ওসিকে সাময়িক প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ সোমবার (২৭ মে) বিকালে তাদের প্রত্যাহার চেয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর চিঠি দিয়েছে ইসি। প্রত্যাহার হওয়া দুই ওসি হলেন আনোয়ারা থানার মোহাম্মদ সোহেল আহমেদ ও চন্দনাইশ থানার ওবায়দুল ইসলাম।
ইসি জানায়, কুমিল্লার দেবীদ্বার, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও আনোয়ারা থানার ওসিকে ৩১ মে পর্যন্ত সাময়িক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ চার ওসিকে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শককে (তদন্ত) ৩১ মে পর্যন্ত দায়িত্বে থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া পটুয়াখালীর দুমকী থানার ওসিকে ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শককে (তদন্ত) দায়িত্ব দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আমাদের আনোয়ারা উপজেলা প্রতিনিধি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনোয়ারার সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের সমর্থিত প্রার্থীকে জয়ী করার লক্ষ্যে কাজ করা ও গভীর রাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী মোজাম্মেল হকের সমর্থকদের বাড়িতে অভিযান দিয়ে ভয়ভীতি সৃষ্টির অভিযোগ উঠে থানার ওসির বিরুদ্ধে। এতে আইজিপি ও ইসি সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ওসির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন আনারস প্রতীক চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী মোজাম্মেল হক।
ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন ওসি সোহেল। ওসি ও সাবেক ভূমিমন্ত্রীর পিএস রিদওয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েম একটি চক্র গড়ে তুলেছেন। যেখানে প্রতি মাসে তারা লাখ লাখ টাকা কামান। এবার নির্বাচনেও তারা নানা ছক আঁকছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গভীর রাতে মোজাম্মেল হকের সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি রেড দিচ্ছে পুলিশ। নির্বাচনী কাজ থেকে বিরত না থাকলে ইয়াবার মামলায় জড়ানোর ভয় দেখানো হচ্ছে।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস