চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ সংক্রান্তি মানে শেষ। চৈত্র মাসের শেষ দিনকে তাই চৈত্র সংক্রান্তি বলা হয়। বৈশাখের আনন্দ মূলত শুরু হয় চৈত্র মাসের শেষ দিন থেকেই। বসন্তকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করার প্রস্তুতির দিন আজ।
আগামীকাল রবিবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ, নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১।
বাঙালির সাংস্কৃতিক জীবনে চৈত্র সংক্রান্তি উৎসবের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। বিশেষ করে বাঙালি সনাতনীসহ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী চাকমা, মারমা, ত্রিপুরারা এ বিশেষ দিনটি পালন করে নিজস্ব ধর্মীয় আচারে। তবে শহরে চৈত্র সংক্রান্তির রীতি রেওয়াজ কম পালন হলেও গ্রাম অঞ্চলে চৈত্র সংক্রান্তি পালন হয় নানান আচার অনুষ্ঠানে।
চৈত্রসংক্রান্তির দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শাস্ত্র মেনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস করে থাকেন। নিজ নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী, অন্য ধর্মাবলম্বীরাও নানা আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন।
এছাড়াও চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে মেলা বসে ও উৎসব হয়। হালখাতার জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সাজানো, লাঠিখেলা, গান, সংযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হয় চৈত্র সংক্রান্তি।
চৈত্র সংক্রান্তির প্রধান উৎসব চড়ক। চড়ক গাজন উৎসবের একটি প্রধান অঙ্গ। এ উপলক্ষে গ্রামের শিবতলা থেকে শোভাযাত্রা শুরু করে অন্য গ্রামের শিবতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া সনাতনীদের ঘরে ঘরে নানা শাক সবজি সংমিশ্রণে করা হয় পাঁচন নামে বিশেষ খাবার।
চৈত্র সংক্রান্তির মাধ্যমে পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে আগামীকাল সফলতা ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় দেখা দেবে নতুন ভোর। পুরোনো বছরের সব জরাজীর্ণতা মুছে ফেলে বাঙালি মিলিত হবে পহেলা বৈশাখের সর্বজনীন উৎসবে। জরাজীর্ণতা, ক্লেশ ও বেদনার সব কিছুকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি সব অন্ধকারকে বিদায় জানিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার থাকবে গোটা জাতির।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন