সিপ্লাস ডেস্ক: একটা সময় পর্যন্ত মনে হচ্ছিল, পাকিস্তান ম্যাচটা বের করে ফেলতে পারে! বিশেষ করে মোহাম্মদ রিজওয়ান আর ইফতেখার আহমেদের জুটি পর্যন্ত। পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ইফতেখার আউট হওয়ার আগে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৬৮ বলে ৯৮ রান।
বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং বান্ধব উইকেট আর ছোট মাঠ মাথায় রাখলে বল রানের পার্থক্য খুব বেশি ছিল না। উইকেটও হাতে ছিল পাঁচটি।
কিন্তু ইফতেখার-রিজওয়ান বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। পাকিস্তানও ম্যাচটা বের করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়ার ৩৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়েছে ৩০৫ রানে। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ জিতেছে ৬২ রানে।
টানা দুই হারের এটি অস্ট্রেলিয়ার টানা দ্বিতীয় জয়।
অস্ট্রেলিয়ার ঠিক উল্টো পথে আছে পাকিস্তান। টানা দুই জয়ের পর এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচ হারল বাবর আজমের দল। তবে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করতে যেমন শুরু দরকার ছিল, পাকিস্তানকে তেমনই সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার।
আবদুল্লাহ শফিক ও ইমাম-উল-হকের জুটিতে বেশ চাপেই ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ২১.১ ওভারে ১৩৪ রান তুলে ফেলেন শফিক ও ইমাম।
তবে অস্ট্রেলিয়াকে ব্রেক থ্রু এনে দিয়ে স্বস্তি ফেরান মার্কাস স্টয়নিস। ৬১ বলে ৬৪ রান করে আউট হন শফিক। তাঁর ইনিংসে ৭ চার ও ২ ছক্কা।
সঙ্গী শফিককে হারিয়ে বেশিক্ষণ টেকেননি ইমামও। স্টয়নিসের বলেই মিচেল স্টার্কের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ইমাম।
ইমামের ইনিংসটি ৭০ রানের। ৭১ বলে ১০ চারেন এই রান করেন ইমাম। দুই ওপেনারের গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর বড় ইনিংস খেলতে পারেননি পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর। শুরুটা অবশ্য দারুণ ছিল তাঁর। ১৪ বলে ৩ চারে ১৮ রান। কিন্তু ইনিংসটা বড় করার আগে অস্ট্রেলিয়াকে উইকেটের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা। এরপর রিজওয়ান ও সউদ শাকিলের ৫৭ ও রিজওয়ান-ইফতেখারের ৩৭ রানের জুটি পর্যন্ত ম্যাচে ছিল পাকিস্তান। রিজওয়ান ৪৬ ও ইফতেখার ২৬ রানে আউট হওয়ার পর দ্রুতই শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস। জাম্পা ৪টি ও প্যাট কামিন্স ও স্টয়নিস ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে অস্ট্রেলিয়াকে বড় সংগ্রহ এনে দেন মূলত দুই ওপেনার। ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন। ওয়ার্নার ১৬৩ ও মার্শ খেলেছেন ১২১ রানের ইনিংস। দুই ওপেনারের পর আর কোনো ব্যাটার দাঁড়াতে পারেননি। তাই একটা সময় স্কোর ৪০০ হবে মনে হলেও শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থেমে যায় ৩৬৭ রানে। শেষ দিকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান পাকিস্তান বোলাররা।
শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সামনে বেশ ভুগেছেন মার্নাস লাবুশেন, স্টিভ স্মিথরা। শাহিন ৫টি ও রউফ ৩টি উইকেট নিয়েছেন।