চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : পৌষের মাঝামাঝিতে এসে সারাদেশে যেন জেঁকে বসেছে শীত। বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও দাপট দেখাতে শুরু করেছে শীত। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই চট্টগ্রাম এক ধূসর শহর। কনকনে ঠান্ডা বাতাসে নগরবাসীর ভোগান্তি আরও বেড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ চট্টগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ হাফিজ উদ্দিন জানান, আগামী কয়েক দিন চট্টগ্রামে সকাল ও রাতের দিকে কুয়াশা ঘন থাকতে পারে। সেই সঙ্গে শীতের তীব্রতা থাকারও আশঙ্কা রয়েছে।
আজ সকালে ঘুম ভাঙতেই অনেকেই টের পেয়েছেন শীতের দাপট। তাই ঘর ছাড়ার আগে গরম কাপড়ের ওপর নির্ভরতা বেড়েছে। রাস্তায় নেমে দেখা যায়, কুয়াশার কারণে ঝাপসা হয়ে আছে দূরের ভবন ও গাছপালা। ভোরে যানবাহন চলাচল ছিল বেশ ধীরগতির। এতে সকালে কাজে বের হয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।
সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাবুল দাস বলেন, হালকা কাপড় পরে ময়লা পরিষ্কার করা খুব কষ্টকর। বারবার ঠান্ডা পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হচ্ছে। এতে হাত জমে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে বরফের মধ্যে বসে আছি।
জমির মাওলা এক অটোরিকশাচালক বলেন, সূর্য উঠবে ভেবে বের হয়েছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত সূর্য ওঠেনি কুয়াশার কারণে। রিকশা চালাতে গেলে যে ঠান্ডা বাতাস লাগে, তাতে হাত-পা দুটোই জমে যায়। এ কষ্ট দিনে দুই বেলা করা সম্ভব না। তাই দুপুরের পর আর কাজ করবো না বলে ঠিক করেছি। আজ রোজগার কম হলেও কিছু করার নেই। শীতের মধ্যে এত কষ্ট করা যায় না।
এদিকে, নগরের হাসপাতালগুলোতেও ঠান্ডার প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। চিকিৎসকদের ভাষ্য, গত কয়েক দিনে সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও হাঁপানির সমস্যা নিয়ে অনেক মানুষ হাসপাতালে আসছেন। শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত উপসর্গ নিয়ে রোগী ভিড় করছেন।
চিকিৎসকেরা বলছেন, কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে এসব রোগের ঝুঁকি বেড়েছে। শীত থেকে বাঁচতে গরম কাপড় ব্যবহার, ভোর ও রাতের ঠান্ডা এড়িয়ে চলা এবং অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হচ্ছে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ







