নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরেছেন। তাঁর সঙ্গে বিমানবন্দরে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তারেক রহমানের সঙ্গে ডা. শাহাদাতের এই ঘনিষ্ট সম্পর্কে আশান্বিত চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দারা। তারেক রহমান যদি প্রধানমন্ত্রী হন চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে ডা. শাহাদাত পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাবেন এমনটি ধারণা নগরবাসীর।
চসিক মেয়রের দেওয়া এক ফেসবুক স্ট্যাটাস সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাক্ষাৎকালে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ এই বৈঠকে তারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং চট্টগ্রামের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। যেখানে তারেক রহমান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্তমান কার্যক্রমের খোঁজখবর নেন এবং চট্টগ্রামকে একটি আধুনিক, পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে মেয়রকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন। তিনি চসিক মেয়রকে জনগণের সেবায় সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাওয়ারও আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের বীরোচিত প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা ছিল। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ পুনর্গঠন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন এক নতুন মাত্রা পেয়েছে। চট্টগ্রামের জনগণের পক্ষ থেকে আমি তাঁকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। তিনি আমাকে যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা আমি পালনে বদ্ধপরিকর।
এদিকে, কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে চসিক মেয়রের এই সাক্ষাৎ ঘিরে নগর বিএনপির রাজনীতিতেও চলছে তোলপাড়। কেন্দ্রিয় নেতা না হওয়া সত্বেও তারেক রহমানের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ ইঙ্গিত দিচ্ছে আগামীতে বিএনপির বড় পদে আসীন হতে যাচ্ছেন ডা. শাহাদাত এমনটি ধারণা তার অনুসারীদেরও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডা. শাহাদাতের অনুসারীরা জানান, তারেক রহমান তারুণ্যের আইকন। তিনি তরুণ প্রজম্মের নেতৃত্বকে সবসময় প্রাধান্য দেন। অন্যদিকে তারেক রহমানের ভিশন মিশন ধারণ করে দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে চট্টগ্রামের উন্নয়নের পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছেন ডা. শাহাদাত হোসেন। আমরা আশা করতেই পারি ডা. শাহাদাত নগর বিএনপির আগামীর কাণ্ডারি হিসেবে নিজেকে মেলে ধরবেন।
অন্যদিকে নগরবাসীরা জানান, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত আমাদের মেয়রের সঙ্গে তারেক রহমানের এই ঘনিষ্ঠতা দেখে। আমরা আশান্বিত এই ভেবে যে, আগামীতে যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন তবে চট্টগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ বরাদ্দ নিয়ে আসতে পারবেন ডা. শাহাদাত হোসেন।
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর লন্ডনে ব্যক্তিগত সফরকালে তারেক রহমানের সঙ্গে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেখা করেছিলেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিতি রয়েছে শাহাদাতের।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ/এসএ






