চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতার সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টির আঞ্চলিক গবেষক রিহাব মাহমুর এ দাবি জানান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচার চালানোর অভিযোগে আনিস আলমগীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ ডিসেম্বর তাঁকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রিহাব মাহমুর বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থনের অভিযোগে ব্যক্তিদের নিশানা করার একটি উদ্বেগজনক প্রবণতার অংশ হিসেবেই আনিস আলমগীরের গ্রেফতার ঘটেছে। তিনি বলেন, নিজস্ব মতামত প্রকাশ বা ভিন্নমত দমনে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত বাক্স্বাধীনতা ও সংগঠনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা—বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে।
অ্যামনেস্টির ওই গবেষক আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে জাতিসংঘের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার–বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিসিপিআর) অনুযায়ী দায়বদ্ধতা সম্মান করতে হবে এবং অবিলম্বে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।
এদিকে একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, আদালতে আনিস আলমগীর নিজেকে একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাবানদের প্রশ্ন করি। গত দুই দশক ধরে এটাই করে আসছি। কারও কাছে মাথা নত করা আমার কাজ নয়।’
পুলিশ সূত্র জানায়, গত রোববার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরদিন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় তাঁকে গ্রেফতার দেখানো হয়। একই দিন পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশীতা ইসলাম তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ







