চবিতে ফের উত্তেজনা, পরস্পর বিরোধী স্লোগান শিবির ও ছাত্রদলের

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে ফের উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিজয় দিবসের আলোচনা চলাকালীন চবি ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে কয়েক দফা হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।

এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) নির্বাচিত ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনির দিকে তেড়ে যেতেও দেখা যায় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিনকে। দেওয়া হয় পরস্পর বিরোধী বিদ্বেষমূলক স্লোগান।

আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা চলাকালীন এসব ঘটনা ঘটে।

এর আগে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে উপাচার্যের দপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে বলতে গিয়ে চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান বলেন, “আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ দেশকে আরেকটা দেশের করতরাজ্যে পরিণত করার জন্য বুদ্ধিজীবীদের ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা করা হয়েছে।

পাকিস্তানি বাহিনী যখন দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, তখন তারা জীবিত থাকবে না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, ওই সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে। এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর। এ হত্যাকান্ড একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল”।

উক্ত বক্তব্যের পরপরই ওইদিন রাতে বিক্ষোভ মিছিল করে শাখা ছাত্রদল। এছাড়া গতকাল সোমবাব উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয় তারা। পরে দীর্ঘ ৮ ঘন্টা তালাবদ্ধ থাকার পর বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তালা খুলে দেওয়া হয়।

পরে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুষ্পস্তবক অর্পণের বিজয় দিবস পালন করে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় ড. শামীম উদ্দিন খান উপস্থিত হলে উত্তেজনা শুরু হয়। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় রাজাকার রাজাকার স্লোগান।

এসময় ইব্রাহিম হোসেন রনি ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে লেখেন, ‘চবির বিজয় দিবসের প্রোগ্রামে ছাত্রদলের উস্কানি ও হামলার চেষ্টা’।

মূলত এই স্ট্যাটাসের সূত্র ধরেই পরস্পর বিরোধী অবস্থানে চলে যায় শিবির ও ছাত্রদল। তাৎক্ষণিক তৈরী হয় উত্তেজনা। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধকে অশ্রদ্ধা করে এমন ব্যক্তির বক্তব্য শুনতে এখানে আসিনি। আমরা আজকের এই অনুষ্ঠান বর্জন করলাম। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচী শিগগিরই জানানো হবে।

অন্যদিকে চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা তৎপর। উভয়পক্ষকে নিয়ে আমরা বসে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করবো।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top