আনোয়ার হোসেন: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে দিন দিন বাড়ছে মালচিং পদ্ধতিতে খিরা চাষের বিস্তৃতি। আধুনিক এই কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় কৃষকরা এখন কম খরচে, কম শ্রমে ও তুলনামূলক বেশি উৎপাদন পাচ্ছেন। ফলে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের নতুন অনেক কৃষক খিরা আবাদে এগিয়ে আসছেন।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করলে জমি আগাছামুক্ত থাকে, পানি সাশ্রয় হয় এবং গাছের গোড়া সবসময় সুরক্ষিত থাকে। এতে ফলনের পরিমাণ বাড়ে এবং রোগবালাইয়ের আক্রমণও কম হয়। একই জমিতে আগের তুলনায় দ্বিগুণ পর্যন্ত উৎপাদন পাওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা।
ফটিকছড়ি উপজেলার নানা ইউনিয়নে ইতোমধ্যেই খিরা ক্ষেতের সবুজ সমারোহ চোখে পড়ছে। বিশেষ করে হালদা নদী, ধুরুং খাল ও সত্তার খালের চরের পাশাপাশি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভা এলাকাজুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে মালচিং পদ্ধতির ব্যবহার। অনেকেই প্রথম মৌসুমেই ভালো ফলন পেয়ে পরবর্তী মৌসুমের জন্য আরও জমি তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছেন।
কৃষক আবদুল মালেক বলেন, আগে খিরা চাষ করতাম সাধারণভাবে। কিন্তু মালচিং ব্যবহার করার পর দেখি ফলন অনেক বেড়েছে। আগাছা নেই, পানি কম লাগে, রোগও কম হয় জন্য এখন পুরো জমিতেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করছি।
কৃষি বিভাগ জানায়, মালচিং ব্যবস্থাপনা খিরা চাষে অত্যন্ত কার্যকর ও লাভজনক প্রযুক্তি। এতে উৎপাদন ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে, পাশাপাশি মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখায় শুষ্ক মৌসুমেও ফলন ভালো পাওয়া যায়। কৃষকদের জন্য এটি পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিও বটে।
চাষিরা আশা করছেন, সামনে শীত মৌসুমে ফটিকছড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ খিরা স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে চট্টগ্রাম শহরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে। মালচিং প্রযুক্তির বাড়তি ব্যবহার ফটিকছড়িতে খিরা উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক বলেন, ফটিকছড়ির মাটি খিরা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। বিশেষ করে হালদা নদী, ধুরুং খাল ও সত্তা খালের চর এলাকায় খিরার ফলন তুলনামূলক বেশি হয়। মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করায় কৃষকরা আরও ভালো ফলন পাচ্ছেন।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন







