ফটিকছড়িতে রোপা আমন ধানের রেকর্ড ফলন

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে সোনালি ফসলের মাঠে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। ভালো ফলনে তাদের মুখে ফুটেছে তৃপ্তির হাসি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। সময় মতো সার, কীটনাশক ও আগাছা দমনসহ সঠিক কৃষি পরিচর্যা করায় ফলনও আশানুরূপ হয়েছে। মাঠজুড়ে এখন শুধু ধান কাটার অপেক্ষা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ধানক্ষেত জুড়ে পাকা ধানের সুবাসে ভরে গেছে বাতাস। সবুজ ও সোনালি রঙের মেলবন্ধনে চারপাশজুড়ে এখন উৎসবের আমেজ—কৃষকের মুখে ফুটেছে আনন্দের হাসি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ফটিকছড়িতে রোপা আমন ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ধান ৩০ শতাংশ এবং উচ্চফলনশীল জাতের ধান ৭০ শতাংশ জমিতে চাষ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক বলেন, চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২ হাজার ২৮৫ মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবং কৃষকদের নিবিড় পরিচর্যার ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি উৎপাদন হয়েছে। ফলে উপজেলায় ধানের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এবারের রোপা আমনের ফলন এত বেশি যে, অনেক কৃষক বোরো মৌসুমের মতো ফলন পাচ্ছেন। যেহেতু রোপা আমন ধানে সাধারণত সেচের প্রয়োজন কম, তাই উৎপাদন ব্যয়ও কমে গেছে—ফলে লাভ বেড়েছে বহুগুণ।

গত বছর বন্যার কারণে ২০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হলেও এ বছর তা ছাড়িয়ে গেছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকি ও পরামর্শে কৃষকরা পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত ফসল। সব মিলিয়ে ফটিকছড়ির মাঠে এখন সোনালি ফসলের সমারোহ হাসছে ধান, হাসছে কৃষকের ঘর।

চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন

Scroll to Top