বিনোদন ডেস্ক: জনপ্রিয় অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী তাহসান খান আর গান গাইবেন না। এ ঘোষণা দেওয়ার পর পরই শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা। কি কারণে তাহসানের এমন সিদ্ধান্ত? ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরা নেমে পড়েন অনুসন্ধানে।
অনেকেই মনে করছেন, ধর্মের টানে গান থেকে সরে এসেছেন তিনি! আবার সাম্প্রতিক সময়ে শোনা যাচ্ছে আরেক গুঞ্জন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ধর্মভিত্তিক একটি রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছেন এ তারকা। শিগগিরই একই সঙ্গে তিনি নাকি রাজনীতিতে যোগ দেওয়া এবং ওই বিশেষ দলটির ব্যানারে সংসদ নির্বাচন প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিবেন।
এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তাহসান নিজেই। এ নিয়ে রাজধানী এক অনুষ্ঠানে সম্প্রতি কথা বলেছেন এই সেলিব্রিটি। তিনি বলেন, আসলে আর গান না গাওয়ার কথাটি বলেছি আমি মেলবোর্নের এক কনসার্টে, সেখানে লোকজনও খুব কম ছিল না। কিন্তু সেটি যে এভাবে ছড়িয়ে পড়বে এবং মিডিয়ায় একটা ইস্যুতে পরিণত হবে, তা ভাবিনি। অভিনয় থেকে যেভাবে ধীরে ধীরে বিরতি নিয়েছি, সেভাবে গান থেকেও বিরতি নেব।
তাহসান বলেন, আমি অনেক বেশি ইমোশনাল প্রকৃতির মানুষ। গান ছাড়ার কথাটা হয়তো খুবই ইমোশোনালি বলেছি। যার কারণে এটি এভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর তো দেখলাম আমার ছবিতে টুপি পড়িয়ে ট্রল করা শুরু হয়েছে। এখন আবার শুনতে পাচ্ছি, আমি গোপনে নাকি কোনো এক রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছি এবং ওই দল থেকে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবো।
তিনি বলেন, এসব উল্টাপাল্টা রটনাকে আমি সহজভাবেই দেখছি। এসব আসলে পার্ট অব দ্য গেম। একটি খেলার মতো। বিশ্বজুড়েই যা চলছে। কিছু মানুষ এখন ভাইরাল হওয়ার নেশায় থাকে। তারা নিজেরা আলোচনায় আসতে নানারকম উদ্ভট কথা ছড়ায়। এক কথাকে আরেক কথা বানিয়ে ফেলে। এ জন্য এখন অনেক চিন্তাভাবনা করে কথা বলতে হয়। কোন কথাটা নিয়ে কখন কী হয়ে যায়, এটা ভাবতে হয়।গানকে বিদায় বলার বিষয়ে তাহসান বলেন, বিদায় আর বিরতি এক কথা নয়। ক্যারিয়ারে এর আগেও একাধিকবার বিরতি নিয়েছি। ব্ল্যাক ব্যান্ড ছেড়ে একক ক্যারিয়ার শুরু করার আগে কয়েক বছর লাইভ পারফরম্যান্স করিনি। তারপর আমেরিকায়া যখন মাস্টার্স করতে যাই, তখন ওই দুই বছর কোনো গান প্রকাশ করিনি, কনসার্টও করিনি। এবার এরকম আরেকটি বিরতি নিয়েছি।
তাহসান বলেন, গত ২৫ বছর যতটা ভালোবাসা পাওয়ার কথা ছিল আমার, তার থেকেও অনেক বেশি আমি পেয়েছি। ভালোবাসা থেকেই মানুষেরা নানারকম প্রশ্ন করে থাকেন। পরিস্থিতির কারণে একেক জায়গায় একেক রকম উত্তর হয়ে যায়। আবার একেকজন এক কথা আরেকভাবে নেয়। যাই হোক, পাবলিকলি কথা বলতে আমাকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। আর এমন কোনো কথা বলতে চাই না, যেটি জাতীয় আলোচনার খোড়াক তৈরি করে।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন







